মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা বঙ্গবন্ধুকে অমরত্ব দান করেছে। বঙ্গবন্ধুর একটি বৈশিষ্ট ছিলো মানুষের প্রতি ভালবাসা এবং এই ভালবাসাই তাকে তাড়িয়ে নিয়ে গেছে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ছিলো জনগনের ন্যায্য অধিকার আদায়। এই অধিকার আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোট বয়স থেকে শুরু করে সারাটা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি শোষিত মানুষের স্বপক্ষে সবসময় অত্যন্ত ক্ষুরধার, শক্তিশালী, বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে ছিলেন। তিনি বলেছেন, বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষিত আর অন্য ভাগে শাসিত। আমি শোষিত মানুষের পক্ষে। বঙ্গবন্ধু জনগণকে সাথে নিয়েই সোনারবাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখে ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করেই বর্তমানে বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তি মিশনে এক নম্বরে রয়েছে।
“বিশ্ব দর্শন দিবস ২০২০” উপলক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ আয়োজিত “বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন” শীর্ষক ওয়েবিনারে এ কথাগুলো বলেছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ২০২০ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ১১:০০ টায় জুম আইডির মাধ্যমে ওয়েবিনারটি সম্পন্ন হয়।
সভাপতির বক্তব্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের মূল জায়গা ছিলো একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাঙালী জাতি ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা এবং এই রাষ্ট্রের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা। আজকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনকে সামনে রেখে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশটিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের জায়গাটি পরিষ্কার ভাবে আজকের প্রজন্মের কাছে পৌছে দিতে পারি তাহলে এ প্রজন্মের হাত ধরেই গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোঃ মুহসিন উদ্দীন এর সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক কাজী শোয়েবুর রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফ হোসেন। ওয়েবিনারে “বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিষ্ট অজয় দাশগুপ্ত। এছাড়াও ওয়েবিনারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ সংযুক্ত ছিলেন।
আনন্দবাজার/শাহী/সাব্বির