মানববন্ধনের ছবি, ভিডিও ও তথ্যাদি সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক গণকণ্ঠ, স্থানীয় দৈনিক সুনামগঞ্জ প্রতিদিন ও জাতীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল মেঘনা নিউজ, অনলাইন টিভি চ্যানেল দেশ সংবাদ টিভির ধর্মপাশা উপজেলা প্রতিনিধি মোবারক হোসেন (৩৭) এর ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে।
উপজেলা পরিষদের সামনের সড়ক ও ওই সড়ক সংলগ্ন একটি চায়ের স্টলে দুই দফা এই হামলার ঘটনা ঘটে। উপজেলা যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম পলাশ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবর ও ছাত্রলীগ নেতা তাসিনুল হক রাফির নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত ওই সাংবাদিক স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাময়িক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন হামলায় আহত ওই সাংবাদিক।
খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলায় আহত সাংবাদিক মোবারক হোসেন জানান, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ মুরাদ ও বাংলাদেশ মৎস্যজীবি লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজুয়ান আলী খান আর্নিকের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকায় ওই দুজনের বিচারের দাবিতে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে ছবি, ভিডিও ও খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আমি সেখানে উপস্থিত হই। এ সময় বেশ কিছু, ছবি ও ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করি এবং মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী দু্ইজন নারীর কাছ থেকে মানববন্ধনে আসার কারণ ও তাঁদের বক্তব্য জানতে চাইলে তাঁরা কোনো জবাব দিতে পারেননি। এ অবস্থায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সেখানে থাকা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীরা।এক পর্যায়ে উপজেলা যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম পলাশ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবর ও ছাত্রলীগ কর্মী তাসিনুল হাসান রাফি সহ ৭-৮জন দুপুর ১২টার দিকে মানববন্ধন স্থলে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে। মানবন্ধনে থাকা পুলিশের হস্তক্ষেপে আমি প্রাণে রক্ষা পাই।
তিনি আরও বলেন, বেলা সোয়া ১২টার দিকে আমি মানববন্ধন সংলগ্ন একটি চায়ের স্টলে বসা ছিলাম। সেখানে থানার একজন এসআই আমার কাছে বসা ছিলেন। তাঁর উপস্থিতেই প্রথমবার হামলাকারীরা আরও লোকজন নিযে সংগঠিত হয়ে দ্বিতীয় দফায় আমার ওপর হামলা চালিয়ে আমাকে আহত করে। হামলা ও মারধরের বিষয়ে উপস্থিত থাকা ধর্মপাশা থানা পুলিশের কেউ এ নিয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
হামলার প্রসঙ্গে উপজেলা যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম পলাশ সাংবাদিকদের বলেন, ওই সাংবাদিক ছবি ও ভিডিও ধারণ করার পাশাপাশি মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কয়েকজন নারীকে উল্টা পাল্টা প্রশ্ন করে বিব্রত করার চেষ্ঠা করেছেন। হামলা চালিয়ে মারধরের অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। শুনেছি ওই সাংবাদিক পা ফসকে সড়কের ওপর পড়ে গিয়ে কিছুটা আহত হয়েছেন।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি দুটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনন্দবাজার/শাহী/মোবারক