সিলেট শহরের কুমারগাঁওয়ে বিদ্যুতের গ্রিড উপকেন্দ্রে বড় ধরনের অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনায় বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে সিলেটের বিদ্যুৎ সেবা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত করতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে কুমারগাঁওয়ে পিডিবির ৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে দমকলবাহিনীর সাতটি ইউনিট প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুুর পৌনে একটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুনে গ্রিডের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে এদিক-ওদিক পড়ে আছে। আগুনে তেল সরবরাহের ইউনিটসহ বিদ্যুতের তিনটি ইউনিট পুড়ে গেছে। এতে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনায় বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে সিলেটের বিদ্যুৎ সেবা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও কখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত করতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ।
এদিকে, আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দমকলবাহিনীর জয়ন্ত কুমার নামের এক সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে যান সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।
তিনি জানান, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে পুরো সিলেট জেলার পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের সব গ্রাহকই বিদ্যুৎহীন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ কখন শুরু হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ফলে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে জনগণকে জানাতে মাইকিং করানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনেরও সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি জানান, আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। তারা অগ্নিকা-ের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবেন।
এদিকে পিডিবি’র প্রধান প্রকৌশলী মোকাম্মেল হোসেন বলেন, একটি সাব গ্রেড থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে পরে মূলগ্রেডে চলে যায়। তবে আগুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। তবে নিশ্চিত করে সেই সময়টা বলা যাচ্ছে না।
পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুর রহমান বলেন, প্রথমে একটি ছোট গ্রিডে আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন বাসের মাধ্যমে অন্য গ্রিডে চলে যায়। ৪-৫টি ট্রান্সফরমার সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারত।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ট্রান্সফরমারের দাম ৫-৬ কোটি টাকা। এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সময় লাগবে। পুরো স্টেশন আবার সেটআপ করতে হবে। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছি।
আনন্দবাজার/এফআইবি