ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ার সেই ধর্ষক মাদ্রাসার সুপারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কুষ্টিয়ার মিরপুরে একটি কওমী মহিলা মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চার্জ গঠনের তিন দিনেই মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও সুপার আব্দুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেছে আদালত।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান আদালতে আসামীর উপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯ এর ১ ধারায় এই রায় ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত আব্দুল কাদের কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার স্বরুপদহের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। সে একই গ্রামে সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা কওমী মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সুপার।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত অক্টোবর মাসের ৪ তারিখ রাত ৮টার দিকে অভিযুক্ত আব্দুল কাদের মাদ্রাসায় তার নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ঐ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এসময় ধর্ষনের ঘটনা কাউকে না জানাতেও হুমকী দেওয়া হয়। পরদিন ভোরবেলা আবারও ঐ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। ঐ ছাত্রী কৌশলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে এসে তার মায়ের কাছে জানালে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করলে ঐদিন রাতেই অভিযুক্তকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করলে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে।

মিরপুর থানা পুলিশ ৭দিনেই মামলার চার্জশীট দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত চার্জ গঠনের তিন দিনেই এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়া নারী ও শিশু আদালতের পিপি অ্যাড. আব্দুল হালিম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আলোচিত এই মামলায় মাত্র তিন দিনেই রায় ঘোষণা করেছে আদালত। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম। রায় ঘোষণা শেষে দন্ডপ্রাপ্তকে কারাগারে প্রেরনের আদেশ দেন আদালত।

আনন্দবাজার/শাহী/রোকনুজ্জামান

সংবাদটি শেয়ার করুন