চীনের উদ্যোগে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৫টি দেশ নিয়ে গঠিত হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুক্ত বাণিজ্য জোট। বিশ্লেষকদের ধারণা, আগামী দিনের বিশ্ব বাণিজ্যে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে এ জোট।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রবিবার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের শেষদিন ‘রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি)’ নামে নতুন এই জোট গঠনের চুক্তি হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ানের ১০ দেশের সঙ্গে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড এই জোটে থাকছে।
সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলেকজান্ডার ক্যাপ্রি বলেন, এই জোট চীনের ভূ-রাজনৈতিক অভিলাষ পূরণে নিশ্চিতভাবেই সাহায্য করবে।
বিবিসি লিখেছে, বিশ্বের মোট জিডিপির ৩০ শতাংশ নতুন এই জোটের আওতায় পড়বে। এর মধ্য দিয়ে যে মুক্ত বাণিজ্য এলাকা তৈরি হবে, তা আকারে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো নিয়ে গঠিত মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়েও বড় হবে।
এশিয়ার আরেক বড় অর্থনীতির দেশ ভারতেরও এই চুক্তিতে আসার কথা ছিল। কিন্তু সস্তা চীনা পণ্যে বাজার ভরে যাওয়ার আশঙ্কায় নরেন্দ্র মোদীর দেশ গতবছর এ আলোচনা থেকে বেরিয়ে যায়।
চীনের উদ্যোগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ বাণিজ্য জোট এবং ওবামার সময়ে হওয়া টিপিপিতে অনুপস্থিতির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধিষ্ণু অঞ্চল এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ঝুঁকিতে পড়বে বলে মত বিশ্লেষকদের।
আইএনজির বৃহত্তর চীন বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ আইরিস পেংয়ের ধারণা, কেবল তাই নয়, পশ্চিমা দেশগুলোর বাজার ও প্রযুক্তির উপর বেইজিংয়ের যে নির্ভরশীলতা রয়েছে, আরসিইপি তা থেকে তাদের সরে আসার ক্ষেত্রেও বড় ধরনের সুবিধা করে দেবে।
সামনের দিনগুলোতে বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রমান্বয়ে শুল্ক কমিয়ে আনাই নতুন এই আরসিইপি জোটের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
আনন্দবাজার/ইউএসএস