করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে অর্থনীতি সচল রাখতে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না বলে মনে করেন নীতি নির্ধারকরা। প্রথম দফার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় এরইমধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আবারও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ উৎপাদন, বিনিয়োগ, রফতানির গতি বাড়িয়ে যখন অর্থনীতির চাকা সচল রাখার যুদ্ধ চলছে। বিভিন্ন খাতে সরকারের দেয়া প্রণোদনার ওপর ভর করে উদ্যোক্তারা ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তখন দ্বিতীয় ধাক্কার আশঙ্কা সামাল দিতে কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ? উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টার দাবি, চোখ কান খোলা রেখে সতর্ক আছে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের যা যা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার সব আমরা নিচ্ছি। যদি বিষয়টা সিরিয়াস হয়ে যায়, যদি আবার আমাদের লিমিটেড লকডাউনে যেতে হয় তখন সরকার নিশ্চয় চিন্তা ভাবনা করবে কিভাবে সবাইকে সাহায্য করা যায়।
অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সরকারের কাজ হবে যেসব খাতে এখনো ইকো প্রণোদনা ব্যবহার করা যায়নি। সেই খাতগুলোতে কিভাবে দ্রুততম উপায়ে এই প্রণোদনা ব্যবহার করা যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া।
করোনার প্রথম ধাক্কা সামাল দিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন খাতের জন্য এক লাখ কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রণোদনা প্যাকেজের ৫৪ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস