বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হয়েছে। এর বিরূপ প্রভাবে কমতে শুরু করেছে তৈরি পোশাকের রফতানি আদেশ। তবে বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা করছেন না ব্যবসায়ী নেতারা।
এদিকে শ্রমিকরা যাতে কাজ না হারায়, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের অর্থনীতি যখন সংকটে, তখন খানিকটা উল্টো চিত্র বাংলাদেশের। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে ৮ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। রফতানি আয় ছিলো ১২ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। আর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে ১২ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলারে। ফলে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে।
এরই মধ্যে ইউরোপে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ। ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ ইউরোপের অনেক দেশেই নতুন করে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি কমবে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বিকেএমইএ সহ-সভাপতি মোহম্মদ হাতেম বলেন, আমরা যেটা আশা করতে ছিলাম হয়তো জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে গিয়ে একটা ভালো অবস্থা দাঁড়াবে। কিন্তু সেকেন্ড ওয়েভের কারণের এই পজিশন এখন হুমকির মুখে। অর্থাৎ ভায়াররা যে অর্ডারগুলো প্রেস করতে শুরু করেছিল সেটা এখন কিন্তু স্থবির হয়ে গিয়েছে।
এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এখন কিন্তু সবার সবকিছু জানা, ভায়াররাও জানে কি হবে বা কি হতে পারে। সেই অনুযায়ী সবাই মিলে একত্রে কাজ করলে এই দ্বিতীয় ওয়েভকে মোকাবেলা করা আমাদের জন্য খুব একটা কঠিন হবে না।
করোনা পরিস্থিতিতে রফতানি বাড়াতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ধরে রাখার ব্যাপারে আরও মনযোগী হওয়ার আহ্বান এই ব্যবসায়ী নেতার।
আনন্দবাজার/ইউএসএস