ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা

উত্তরাঞ্চলের খাদ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত নওগাঁয় ফসলের মাঠ জুড়ে বাতাসে দুলছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। জেলায় মাঠের পর মাঠ এখন পাকা ধানের সোনালী চাদরে মোড়ানো। জেলায় চলতি রোপা আমন মৌসুমের ধান কাটা শুরু হয়েছে।

পর পর ২বারের বন্যায় ক্ষতি হওয়ার পরও কৃষি বিভাগ মনে করছে জেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০হাজার ১১৫ মেট্টিক টন অতিরিক্ত চাল উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

নওগাঁ কৃষি সসম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শামসুল ওয়াদুদ জানান, চলতি খরিপ-২/২০২০-২০২১ মৌসুমে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছিল ১লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উন্নত ফলনশীল উফশী জাতের ১লাখ ৬৮হাজার ১৭০হেক্টর, স্থানীয় জাতের ২৯হাজার ৮০হেক্টর এবং হাইব্রিড জাতের ২৫০হেক্টর।

উপজেলা ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল, সদর উপজেলায় ৯হাজার ৭৫০হেক্টর, রাণীনগর উপজেলায় ১৮হাজার ৮৫হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ৫হাজার ১৩০হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ১৩হাজার ৭৭০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ২৮হাজার ৩৩৫ হেক্টর, পতœীতলা উপজেলায় ২৮হাজার ৪৫০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ১৯হাজার ৭৯০হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ১২হাজার ৭৫ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ১৬হাজার ৬৯৫হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ১৫ হাজার ৭৫৫ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ২৯ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে।

লক্ষ্য মাত্রার অতিরিক্ত, মোট ১লাখ ৯৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়। কৃষি বিভাগ এই পরিমাণ জমিতে হেক্টর প্রতি গড়ে ৩.১০ মেট্টিক টন হিসেবে ৬লাখ ১২হাজার ৭১৫মেট্টিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।

কিন্তু জেলায় পর পর দুই বারের বন্যায় ৫ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার পর জেলায় ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান উৎপাদন নিশ্চিত হয়। ইতোমধ্যে ধান কাটাও শুরু হয়েছে।

কৃষি বিভাগ পরিমাপ করে জানিয়েছে, হেক্টর প্রতি গড়ে চাল উৎপাদিত হয়েছে ৩দশমিক ৪০ মেট্টিক টন। এতে জেলায় মোট ৬লাখ ৫২হাজার ২৯০মেট্টিকটন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা নিশ্চিত হয়েছে। যা ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০ হাজার ১১৫ মেট্টিক টন বেশি।

আনন্দবাজার/শাহী/অনিক

সংবাদটি শেয়ার করুন