মহামারির করোনার শুরু থেকেই মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছিল পোল্ট্রি ফিডের কাঁচামালের। কিন্তু সবচেয়ে বেশি মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে গেল ২মাসে। তবে উপকরণ ভেদে বেড়েছে ৩৫-৫৬ শতাংশ পর্যন্ত।
মিলারদের অভিযোগ, মূল্য বাড়াতে কারসাজি করছেন দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। অতি মুনাফা অর্জন করাই তাদের উদ্দেশ্য। ফলে এখন উৎপাদন পর্যায়েই প্রতিকেজি ফিডে লোকসান গুণতে হচ্ছে আমাদেরকে।
১টন পোল্ট্রি ফিড তৈরি করতে প্রয়োজন হয় ৭৫০ কেজিই ভুট্টা ও সয়াবিন। আর এর সাথে থাকে ফুলফ্যাট সয়াবিন, রাইস পলিস, সয়াবিন তেল, আটা সহ আরও অনেক উপাদান। করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনিতেই ব্যাপক বিপর্যয়ে আছে দেশের পোল্ট্রি খাত। তারমধ্যে দিন দিন কাঁচামালের মূল্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৬ মাস আগেও এক কেজি ভুট্টার মূল্য ছিল ১৭ টাকা। কিন্তু সেটা ৩৫ শতাংশ মূল্য বেড়ে বর্তমানে এর দাম ২২ টাকা। আর ৩৪ টাকার সয়াবিন মিলের মূল্য এখন ৫৫ টাকা। এমনকি ৩৬ টাকার ফুল ফ্যাট সয়াবিনের মূল্যও এখন প্রায় ৫০ টাকা। সেই সাথে ১৬ টাকার রাইস পলিস কিনতে হচ্ছে ২৫ টাকায়।
প্যারাগন পোল্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকমশিউর রহমান জানান, কতক্ষন আমরা মূল্য কম রাখবো, মূল্য বাড়িয়ে দিলে এর প্রভাব পরবে ভোক্তাদের উপরে। ফলে ভোক্তারাদের কাছে যখন মাংস এবং ডিমের মূল্য বেশি হবে তখন অবশ্যই এই শিল্প একটি হুমকির সম্মুখে পড়বে।
উদ্যোক্তারা জানান, কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধির লাগাম টানতে না পারলে আবারও ক্ষতির মুখে পড়বে পোল্ট্রি শিল্প। প্রতিটি কোম্পানীর প্রতি কেজি ফিডে প্রায় ৩/৪ টাকা লস হচ্ছে। এমনকি বর্তমানে পয়সা দিয়েও র-ম্যাটারিয়াল পাওয়া যাচ্ছেনা। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে অনেক ফিড মিল অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে।
তবে বাংলাদেশে পোল্ট্রি উপকরণ আসে চীন, ভারত এমনকি আমেরিকার নানা দেশে থেকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসকল অঞ্চলে উৎপাদন কমেছে ২৫-৩০%। এছাড়া, ভুট্টা-গমের মত খাদ্য শর্ষে মানুষের নির্ভরতাও বৃদ্ধি পেয়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে পোল্ট্রি ফিডের কাঁচামালের যোগানে দিন দিন সংকট তীব্রতর হচ্ছডি।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে