বাংলাদেশ পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপনকে জানাজা শেষে গাজীপুরের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। দাফনের পূর্বে মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) গাজীপুর শহরের ঐতিহাসিক ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে সকাল ৮:৩০ মিনিটে আনিসুল করিমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে নিহত এএসপি আনিসুল করিমের জানাজাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ আজাদ মিয়া ও কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড.আমানত হোসেন খাঁনসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাজার নামাজে শরীক হোন।
জানাজার পূর্বে নিহতের বড় ভাই রেজাউল করিম বলেন, আমার ছোট ভাই আনিসুলকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে ন্যায়বিচার দাবী করছি। তিনি আরো বলেন, আমার ভাই খুবই চাপা স্বভাবের ছিলো। সে সাধারণত কোন কারণে মানসিক চাপে থাকলেও কাউকে কিছুই বলতো না। গত কয়েকদিন ধরে ওর কিছুটা মানসিক সমস্যা ছিলো।
নিহত আনিসুল করিম শিপন ২০০০ সালে গাজীপুর শহরের রাণী বিলাসমনি সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কাজী আজিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ২০০২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পাস করেন। এরপর রাজধানী ঢাকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি ৩১তম বিসিএসে উর্ত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন।
নিহত এএসপি আনিসুল করিম শিপনের গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের আড়াল গ্রামে। এদিকে পরিবারের চার ভাই বোনের মধ্যে আনিসুল করিম শিপন ছিলেন সবার কনিষ্ঠ। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজুদ্দিন আহমেদ। গ্রামের বাড়ি কাপাসিয়া হওয়া সত্তে¡ও প্রায় ৪০ বছর ধরে গাজীপুর মহানগরের বরুদা এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
২০১১ সালে পারিবারিক ভাবেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আনিসুল করিম। তার স্ত্রীর নাম শারমিন সুলতানা। আনিসুল ও শারমিন দম্পতির চার বছর বয়সী সাফরান নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
গত সোমবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের শিকার হন বাংলাদেশ পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপন। পরে নিহত আনিসুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজুদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলা করেন।
আনন্দবাজার/শাহী/সবুজ