চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে। যার পরিমাণ ১০ কোটি ২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরে ছিল ৬ কোটি ৬৮ লাখ ১০ হাজার ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৫০০ শতাংশ বেশি।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ১ কোটি ১২ লাখ ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল।
আর জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
সোমবার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি সংক্রান্ত সর্বশেষ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, এই তিন মাসে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য এক হাজার ৩৩০ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কম।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় গতবছরের মতো লাগামহীন হয়ে উঠতে শুরু করে এর বাজার।
পেঁয়াজের অস্থির বাজার সুস্থির করতে গত ২০ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ আমদানিতে আরোপিত ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয় সরকার।
২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এটা কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।
১৭ সেপ্টেম্বর এই পণ্যটির আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে মার্জিন বা নগদ জমার হার ‘ন্যূনতম পর্যায়ে’ রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
আনন্দবাজার/ইউএসএস