ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে তেঁতুলের উপকারিতা

তেঁতুলের কথা শুনলেই জিহ্বায় পানি চলে আসে। তেঁতুল খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। তবে মানবদেহে তেঁতুলের উপকারিতার শেষ নেই। তেঁতুল খেলেই পাবেন এর উপকারিতা।

তেঁতুল কাঁচা-পাকা সব ভাবেই খাওয়া যায়। তবে নারীরা বেশি পছন্দ করেন তেঁতুলের আঁচার। তেঁতুলে আছে আয়রন, খনিজ পদার্থ, আমিষ, ক্যালসিয়াম, চর্বি শর্করা, ক্যাবোটিন ও ভিটামিন সি। যা মানুষের শরীরে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করে। এছাড়াও তেঁতুলের আরও ৮টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে রাখুন।

১. নারীরা গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেতে বেশি পছন্দ করেন। কারণ তেঁতুলের টক গর্ভবতী নারীদের মর্নিং সিকনেস থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।

২. একজন গর্ভবর্তী নারীর কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তেঁতুল খেলে সেই সমস্যা দূর হয়ে যায়। এছাড়া এটি ব্লাড প্রেসার থাকলেও সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে তেঁতুল পাতা, ছাল ও শিকর ডায়েরিয়া ও পেটের ব্যথা সারাতে ব্যবহার করা হয়।

৩. অনেকেই হয়তো মনে করেন তেঁতুল মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারাণটি। কারণ তেঁতুলে রয়েছে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড যা মানুষের খাবার থেকে আয়রন সংগ্রহ করে শরীরের নানা কোষে পরিবহন করে। যা মস্তিষ্কের জন্য খুব প্রয়োজন।

৪. তেঁতুলের কচিপাতায় যথেষ্ট পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড। কচিপাতার রসের শরবত সর্দি-কাশি, পাইলস ও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমাতে ব্যাপক কার্যকরী।

৫. সামন্য পরিমাণ লবন ও তেঁতুল মিশিয়ে খেলে মানুষের বদহজমের সমস্যা ভালো হয়ে যায়। মানুষের স্কার্ভি রোগ ভাল হয়। তেঁতুল পরিমাণ মতো খেলে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। তবে অতিরিক্ত তেঁতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভাল।

৬. চিকিৎসকরা  ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তেঁতুল খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এটি রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা করে।

৭. শীতের মৌসুমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তেঁতুল খেতে পারেন। কারণ তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান রয়েছে।

৮. প্রসাব করতে গিয়ে জ্বালা-পোড়া করলে তেঁতুল খেতে পারেন। দেখবেন প্রসাবের জ্বালার সমাধান মিলছে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন