সরকার প্রথমে ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ নিয়ে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) প্রতিরোধে কাজ শুরু করলেও পর্যায়ক্রমে দেশের সবাইকেই ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ রবিবার (৮ নভেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালীন তিনি এ কথা জানান।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে উভয় নেতা নিজ নিজ দেশের স্বাস্থ্যখাত প্রসঙ্গে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, গত ৫ নভেম্বর ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরে করে। চুক্তি অনুযায়ী, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনার ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ ভারতীয় কোম্পানিটি বেক্সিমকো ফার্মার মাধ্যমে বাংলাদেশকে দেবে।
জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রথমে তিন কোটি ভ্যাকসিন দিয়ে করোনা প্রতিরোধে কাজ শুরু করলেও পর্যায়ক্রমে আরও ভ্যাকসিন আমদানি করে দেশের সব মানুষকেই তা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।
উভয় নেতা করোনা ছাড়াও রোহিঙ্গা ইস্যু, কমিউনিটি ক্লিনিক সেবা, দেশের হাসপাতাল কার্যক্রম, হাম-রুবেলা টিকা, করোনার সেকেন্ড ওয়েভ সামলানো, উভয় দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও জোরদার করার বিষয়েও আলোচনা করেন।
আনন্দবাজার/ইউএসএস