চলতি বছরে লিবিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খাতের অবস্থা খুবই হতাশাজনক। একদিকে নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর ধাক্কা, অন্যদিকে তেলকূপগুলোর ওপর সশস্ত্র মিলিশিয়া বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ, সব মিলিয়ে ২০২০ সালের শুরু থেকে চরম চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে লিবিয়ার জ্বালানি তেল খাত। উত্তোলনে রীতিমতো ধস নেমেছে। রফতানি কমেছে রেকর্ড পরিমাণ। তবে এসব ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে লিবিয়ার জ্বালানি তেল খাত।
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির আমলে অপরিশাধিত জ্বালানি তেল খাত চরম উত্কর্ষ লাভ করেছিল। ওই সময় দেশটির ক্রমবিকাশমান অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি ছিল জ্বালানি তেল। তবে ২০১১ সালের অক্টোবরে মার্কিন হামলায় গাদ্দাফির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সেসব সোনালি ইতিহাসের ইতি টানা হয়।
চলতি বছরের শুরুতে লিবিয়ার ইস্টার্ন ফোর্সের মিলিশিয়ারা গুরত্বপূর্ণ কয়েকটি তেলক্ষেত্রের দখল নেয়। ওই সময় দেশটিতে প্রতিদিন প্রায় ১২ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন হচ্ছিল। এক ধাক্কায় দেশটিতে জ্বালানি পণ্যটির দৈনিক গড় উত্তোলন এক লাখ ব্যারেলের কাছাকাছি নেমে আসে। করোনা মহামারীর মধ্যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলনে এ ধাক্কা লিবিয়ার অর্থনীতিতে চরম সংকট তৈরি করে।
তবে সপ্তাহ দুয়েক আগে কয়েকটি তেলক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার সম্ভব হয়েছে। এর পর থেকে গত দুই সপ্তাহে দেশটিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গড় উত্তোলন ২ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেলে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ার ন্যাশনাল অয়েল করপোরেশন (এনওসি)।
এ ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহেও দেশটিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গড় উত্তোলন ২ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেলের ওপরে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আনন্দবাজার/ইউএসএস