সিদ্ধিরগেঞ্জ এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নাসিক কাউন্সিলর লাঞ্ছিতের ঘটনায় জিডি নিয়েছে পুলিশ। মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ, ৬ অক্টোবর রাতে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি নেন। তবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, মামলা হওয়ার মতো ঘটনা হলে আমরা অবশ্যই মামলা নিবো। এটা তো মামলা হওয়ার মতো ঘটনা নয়।
৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকায় নাসিক ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা ঐ মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করেন। অভিযুক্ত আলী হোসেন আলা একই সঙ্গে থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী একই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন। তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সার্জেন্ট ছিলেন।
সাধারণ ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯ টায় আমার নিজ বাড়ির সামনে রাস্তা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখায়। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট হওয়া স্বত্বেও কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা আমাকে তিন তিনবার ধাক্কা দেয় এবং এলাকার মানুষের সামনে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্চিত করে। জোরপূর্বক আমার জমির উপর দিয়ে রাস্তা এবং ড্রেন নির্মাণ করা হবে বলে হুমকি দেয়। বাধা দিলে বড় ধরণের ক্ষতি করার হুমকি দেয়।
জিডি করার বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, থানায় আমি মামলা করতে গিয়েছিলাম। পুলিশ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি। এজন্য জিডি করেছি।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ অস্বীকার করে আলী হোসেন আলা বলেন, তাকে কোনো ধাক্কা দেয়া হয়নি। তাকে বলেছি, এখানে যেহেতু একটু অংশ পড়েছে সেহেতু এদিক থেকে ভেঙে করে ফেলি। কারণ ওই পাশে ফাউন্ডেশন দেয়া ভবন, যা ভাঙতেও সমস্যা। এর বেশি কোনো কথা হয়নি।
সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) কামরুল ফারুক জানান, গতকাল রাতে এ ঘটনায় জিডি হয়েছে। এটা কোর্টে পাঠানোর পর অনুমতি পেলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। মামলা না নেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলা হওয়ার মতো ঘটনা হলে আমরা অবশ্যই মামলা নিবো। এটা তো মামলা হওয়ার মতো ঘটনা নয়।
আনন্দবাজার/শাহী/সোহাগ