করোনার ধাক্কা সামলিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে মাছ রফতানি খাত। দীর্ঘ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে মাছ রফতানি। জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে দক্ষিণাঞ্চল খুলনা বিভাগ থেকে মাছ রফতানি হয়েছে ৭৬২.৪৬ কোটি টাকার।
রফতানি হওয়া মাছের মধ্যে বাগদা, গলদা ও হরিণা চিংড়ি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া দেশীয় প্রজাতির সামান্য কিছু মাছও রফতানি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিষ্টি পানির মাছের থেকে লোনা পানির মাছের স্বাদ বেশি হওয়ায় খুচরা ক্রেতাদের কাছে এ মাছের চাহিদা বেশি।
এ বছর বাগদা চিংড়ির উৎপাদন হয়েছে ২১ হাজার ৪৪১ মেট্রিক টন। গলদার ৬৫৪২.৫ মেট্রিক টন। হরিণা চিংড়ির উৎপাদন ৩৪১০ মেট্রিকটন। এ ছাড়া এসব মাছের ঘেরে অন্যান্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছও উৎপাদন হয়েছে।
গলদা চিংড়ি রফতানি হয়েছে ৮১০ মেট্রিক টন, বাগদা ৬৫২০ মেট্রিক টন, হরিণা চিংড়ি ২৪২ মেট্রিক টন, ৭২ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় সাদা মাছ, কাকড়া ১২৫ মেট্রিক টন। বাকিগুলো মাছের আশ ও চিংড়ির খোসা রফতানি হয়েছে।
জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে ৭৬২.৪৬ কোটি টাকার মাছ রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে গলদা রফতানি হয়েছে এক কোটি ২৯ লাখ ৯৬ হাজার ২৩৫ ডলার, বাগদা ৬ কোটি ১৪ লাখ ৪১ হাজার ১৬ ডলার, হরিণা চিংড়ি ১৯ লাখ ৫১ হাজার ১২৮ ডলার ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রফতানি হয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৬৪১ ডলার।
খুলনা কোয়ালিটি কন্ট্রোল কার্যালয়ের মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এটিএম তৌফিক মাহমুদ বলেন, শতকরা ৮০ ভাগ বাগদা চিংড়ি রফতানি হয় ইউরোপের ২৭টি দেশে। ২০ ভাগ যায় আমেরিকা, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে। এছাড়া মোট রফতানির শতকরা দুই ভাগ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রফতানি হয় অন্যান্য দেশগুলোতে।
তিনি বলেন, করোনা দুর্যোগ কাটিয়ে জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশে মাছ রফতানি হয়েছে ৭৬২.৪৬ কোটি টাকার। অক্টোবর মাসের হিসাব কার্যক্রম এখনও শেষ হয়নি। করোনার প্রার্দুভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মাছ রফতানি খাত।
বর্তমানে কুচিয়া ও কাকড়া রফতানি বাজারটি হারিয়েছি আমরা। কেননা, কুচিয়া ও কাকড়া রফতানি বড় বাজার চীন। করোনার কারণে চীনে এখনও রফতানি শুরু হয়নি।
আনন্দবাজার/ইউএসএস