জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী (একনেক) কমিটির সভায় ৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২ হাজার ৪৫৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা খরচের প্রকল্পে সরকার দেবে ১ হাজার ৬৬৯ কোটি ৩১ লাখ, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থাকবে ১৮২ কোটি ১৪ লাখ এবং বিদেশি ঋণ থাকবে ৬০৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী/সচিবরা এই সভায় অংশ নেন।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা কশিমনের সদস্যরা সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তারা জানান, একনেক সভায় দু’টি নতুন এবং দু’টি প্রকল্পের সংশোধন অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘যমুনা নদীর ডানতীর ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাধীন সিংড়াবাড়ী, পাটাগ্রাম ও বাঐখোলা এলাকা সংরক্ষণ’ প্রকল্প। এতে খরচ হবে ৫৬০ কোটি ৭ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে।
মৎস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১৯৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা খরচের ‘কক্সবাজার জেলায় শুটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন’ প্রকল্প। এটি বাস্তবায়ন করা হবে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘পাঁচদোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল জেলা মহাসড়কে একস্তর নিচু দিয়ে উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেনসহ চারলেনে উন্নীতকরণ (ডাঙ্গাবাজার-ইসলামপুর লিংকসহ)’ প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন। এই সংশোধনীতে ৫৫১ কোটি ৫১ লাখ টাকা খরচ বেড়েছে। প্রকল্পটির মূল খরচ ছিল ৯৩৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটির সময়ও ২ বছর বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।
এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের ‘আমিনবাজার-মাওয়া-মোংলা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন আনা হয়েছে। প্রকল্পটির খরচ বেড়েছে ১ হাজার ১৪৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মূল খরচ ছিল ১ হাজার ৩৫৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটির সময় দেড় বছর বাড়িয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস