দেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর মোংলায় জাহাজ আগমন বেড়ে যাওয়ায় আমদানি রপ্তানির পরিমান বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে কর্মচাঞ্চল্য। বন্দরের উন্নয়নে সরকারের গৃহিত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হওয়ার ফলে অপারেশনাল কার্যক্রম আগের তুলনায় অনেক বেশি গতিশীল হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বন্দরে জাহাজ এসেছে ৮৩ টি। অক্টোবরে এসেছে ৭৯ টি। কন্টেইনারের জাহাজ কম আসলেও এবার অক্টোবর মাসেই ৫ টি কন্টেইনার জাহাজ বন্দরে ভিড়েছে। সবমিলিয়ে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে মোংলা বন্দরে মোট জাহাজ এসেছে ১৬২ টি। চলতি বছরে বন্দরে তুলনামূলকভাবে জাহাজ আগমন বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত গতিতে বাড়ছে রাজস্ব আয়।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৯ – ২০১০ অর্থবছরে মোংলা বন্দরে মোট জাহাজ এসেছিল ১৫৬ টি। এক বছরে যেখানে জাহাজ এসেছে ১৫৬ টি সেখানে মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে মাত্র দুই মাসে তার চেয়েও বেশি সংখ্যক জাহাজ বন্দরে আগমন করেছে। বন্দর সংশ্লিষ্ট জানান, বিগত ১১ বছরে মোংলা বন্দরের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এক সময়ের মৃত্য বন্দর আজ একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে মোংলা বন্দর। গত ২৫ অক্টোবর বন্দরের সবগুলো জেটিতে বিদেশী জাহাজে পূরিপূর্ণ ছিল। অর্থাৎ একই সঙ্গে জেটিতে ৫টি জাহাজ বার্থিং করে মালামাল খালাস করেছে। এছাড়াও গত ২১ অক্টোবর রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম চালানের যন্ত্রপাতি নিয়ে মোংলা বন্দরের জেটিতে মালামাল খালাসের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
বর্তমানে মোংলা বন্দরে বিদেশী জাহাজ আগমন বেড়ে যাওয়া এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধির বিষয়টিকে বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম সাফল্যে হিসেবেই দেখছেন বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান, এনপিপি, এনডিসি, পিএসসি, বিএন। তিনি বলেন, বন্দরের উন্নয়নে গৃহিত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের ফলে অপারেশনাল কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্দরে বিদেশী জাহাজ আগমনের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
আমদানি রপ্তানিকারকরা এখন এ বন্দর ব্যবহারে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিশেষ করে গাড়ি আমদানিতে মোংলা বন্দরের গুরুত্ব বেড়েছে কয়েকগুন। মাওয়ায় পদ্মা সেতু চালু হলে আমদানি রপ্তানীতে শীর্ষ স্থান দখল করবে মোংলা বন্দর। তিনি আরো বলেন, মোংলা বন্দরের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী পদক্ষেপ বন্দরের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করেছে।
আনন্দবাজার/শাহী/সুজন