আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। করোনা পরিস্থিতিতে এবার ৯ কোটি আগাম ভোট নেওয়া হয়েছে। ঐতিহাসিক এই নির্বাচনে ২০১৬ সালের সাথে তুলনায় খরচ অনেক বেড়েছে। নিরপেক্ষ সংগঠন সেন্টার ফর রিসপন্টিক পলিটিক্স (সিআরপি) জানিয়েছে, সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে এবারের নির্বাচনে ১৪ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে।
নির্বাচনে দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যয় করছেন ৬.৬ বিলিয়ন ডলার। এবং ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান দুই দলের কংগ্রেস নির্বাচনের সকল প্রার্থী মিলে খরচ করেছেন ৭ বিলিয়ন ডলার। নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত ডেমোক্রেট পার্টি ব্যয় করছে ৬. ৬ বিলিয়ন। এবং রিপাবলিকরা ৩.৮ বিলিয়ন ডলার। আর নির্বাচনের দিন খরচ হবে বাকি ৩ মিলিয়নের বেশি ডলার। এটি ২০১৬ সালের নির্বাচনে খরচের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
গণমাধ্যম সিএসবিসি এবং সিএনএস জানায়, অনুমান করা হয়েছিল এবারের ফেডারেল নির্বাচনের ব্যয় প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলারে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অ্যামি কনি ব্যারেটের মনোনয়নের লড়াইয়, প্রেসিডেন্টে নির্বাচনের নানা জরিপ, সিনেট ও হাউজ নির্বাচনের উত্তাপে এই ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সেন্টার ফর রিসপন্টিক পলিটিক্স (সিআরপি) এই তথ্য দিয়েছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরপি জানিয়েছে, ডেমোক্রেট মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি যিনি এক বিলিয়ন ডলার অনুদান সংগ্রহ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০২০ সালের নির্বাচনের সময় ৯৫০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছেন তার সর্মথকগোষ্ঠী থেকে। এই অনুদান বাইডেন এবং ট্রাম্পের ব্যক্তিগত। দলের হিসেবে আলাদা।
আনন্দবাজার/টি এস পি