ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টিতে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি

বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে একটানা দুই দিনের বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংখা করছে খামার কতৃপক্ষ। ঝড়ো হাওয়ায় আধা কাচা পাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়ে পানিতে ডুবে ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

মাটিতে নুয়ে পড়া পানিতে ডুবে থাকা ধান পরিপূর্ণ পুষ্ঠ না হওয়া ও ধানের কালো কালো দাগ পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি রয়েছে। তাছাড়া কুশি ভরা ধানের ফুল ঝড়ো বাতাসে পড়ে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে চিটা হয়ে যেতে পারে। এ বছর আমন ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছিল।

কিন্ত গত বৃহস্পতিবার বিকালে ঝড়ো হাওয়ায় আধা পাকা ব্রিধান৭৩ এর ক্ষেত লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে। দেখলে মনে হয় ঝড়ো হাওয়া পাকা ধান ক্ষেতে মই দিয়ে গেছে। উপকূলে অবস্থিত এ খামারটিকে লবন পানিসহ প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে ফসল ফলাতে হয়।

খামার সূত্রে, চলতি আমন মৌসুমে খামারে বিআর ২৩ জাতের ১০ একর, ব্রি-ধান ৩০ জাতের ১২ একর, ব্রি ধান ৭৩ জাতের ৮ একর , ব্রি ধান ৮০ জাতের ১৬ একর ও ব্রিধান ৭৮ জাতের ৮ একর জমিতে আবাদ হয়েছে। সর্বমোট ৫৪ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে।

এর মধ্যে ঝড়ো হাওয়ায় মাটিতে পড়ে পানিতে তলিয়ে ব্রিধান ৭৩ জাতের ৮ একরের মধ্যে ৭ একর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ব্রি ধান ৮০ জাতের ১৬ একর জমিতে আবাদকৃত ধানে সবে মাত্র ফুল ফুটেছে।

এ বিষয়ে খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন মোল্লা জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে একটানা বৃষ্টি ও মাঝে মাঝে ঝড়ো হাওয়ায় চলতি মৌসুমে আমন ক্ষেতের ব্রিধান ৭৩ জাতের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিআর ৮০ জাত ১৬ একর জমিতে আবাদ করা হয়েছে।এ জাতের ধানে সবে মাত্র ফুল ফুটতে শুরু করেছে।

এ অবস্থায় ঝড়ো হাওয়ায় ফুল ঝরে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। পানিতে পড়ে যাওয়া ক্ষেতের ধানের চারটি গোছা এক সাথে বেধে দিয়ে দাড় করানোর হচ্ছে। আধা কাচা পাকা ধান পানিতে পড়ে যাওয়ায ধানে কালো কালো দাগ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া পুষ্ট না হলে ধান চিটা হবে বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার/এম.কে/ই.হ

সংবাদটি শেয়ার করুন