ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রুপালি পর্দার জন্য মনেপ্রাণে প্রস্তুত বারিশা

বারিশা হক একাধারে একজন মডেল, নৃত্যশিল্পী ও উপস্থাপিকা। ছোট পর্দায়ও তার বেশ আনাগোনা রয়েছে। বুলবুল ললিতকলা একাডেমী থেকে শিখেছেন ক্লাসিক্যাল নৃত্য। মূলত ২০১০ সালে নৃত্যের মধ্য দিয়েই শুরু হয় তার ক্যারিয়ারের যাত্রা। তারপর থেকেই নৃত্যসহ মডেলিং, উপস্থাপনায় একের পর এক নৈপুণ্য দেখিয়ে আসছেন বারিশা। তবে তিনি নিজেকে এখন মনেপ্রাণে রুপালি পর্দার জন্য প্রস্তুত মনে করছেন।

ছোটবেলা থেকে পরিবারের সাথে ঢাকায় বেড়ে ওঠা বারিশার। নৃত্যকে নিজের ভেতর লালন করেই শোবিজ অঙ্গনে পথচলা শুরু তার। শুধু ক্লাসিক্যাল না, ফিউশন ড্যান্স ও আধুনিক নৃত্যের জন্যও তৈরি করেছেন নিজেকে। কিন্তু নৃত্যকে ঘিরেই এগোতে চাননি তিনি। ছোটবেলা থেকেই ডিবেট করতেন এবং সেখান থেকেই তার উপস্থাপনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হওয়া। নৃত্য, উপস্থাপনার সাথে তাল মিলিয়েই পথচলা শুরু করেন অভিনয়ের দিকে। ছোট পর্দায় বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। তারমধ্যে আরটিভিতে প্রচারিত আশফাকুর রহমানের রচনা ও পরিচালনায় ‘মন পাগল’ নাটকের মধ্য দিয়েই তার প্রথম অভিনয় করা। ঠিক এরপরপরই অভিনয় করেন ‘হাসির পাত্রী’ নাটকেও।

ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন এর ওপর গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করার পরপরই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পান বারিশা। কিন্তু তখন তিনি নিজেকে রুপালী পর্দায় অভিনয়ের জন্য প্রস্তুত মনে করেন নি। টানা তিনবছরেরও বেশী সময় ধরে পরিশ্রম করে নিজেকে এখন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত মনে করছেন মডেল বারিশা হক। তিনি বলেন, ‘প্রযোজক-পরিচালকরা যদি যোগ্য মনে করেন, তাহলে আমাকে নিয়ে কাজ করবেন। তবে যারা আমাকে নিয়ে চলচ্চিত্রে কাজ করবেন, তারা চরিত্র অনুযায়ী আমাকে গ্রুমিং করিয়ে নিলে আমি পারব নিশ্চিত।’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ক্ষেত্রে নাচ ও উপস্থাপনা অনেকাংশে সহযোগিতা করে বলে তার বিশ্বাস। নিজেকে বাণিজ্যিক ছবিতে গ্লামারাসভাবেই পরিচিত করাতে চান তিনি। নাচে ও উপস্থাপনায় যেহেতু দক্ষতা রয়েছে, তাই অভিনয়ের পথ চলাটা জন্য খুব বেশি কঠিন হবে না বলে প্রত্যাশা তার।

বারিশা হক আরও বলেন মিডিয়ায় কাজ করার পেছনে আমি তেমন কারও সাপোর্ট পাইনি। নিজের সততা আর পরিশ্রম দিয়েই নিজেকে এতদূর নিয়ে এসেছি। ইতোমধ্যেই বারিশা হক কলকাতার একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। মানসী সিনহা’র পরিচালনায় ‘এটা আমাদের গল্প’ চলচ্চিত্রে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

ইচ্ছে ছিল একজন আদর্শ গৃহিণী হবেন এবং তার স্বপ্ন গুলো তার ছেলেমেয়েকে দিয়ে পূরণ করাবেন। সে ইচ্ছেতেই এখনো তিনি অটুট আছেন। দৈনিক আনন্দবাজারের বিনোদন সাংবাদিক শাহীদুল ইসলাম আপনের সাথে সাক্ষাতকারে তিনি জানান, ভবিষ্যতে আমি নিজেকে একজন আদর্শ মা হিসেবে দেখতে চাই এবং সততার সাথে রুপালি পর্দায় নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করে দর্শকের ভালোবাসা পাওয়া যায়, এটাই আমি প্রমাণ করতে চাই।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন