বগুড়ায় পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরেও সরকার নির্ধারিত ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে না আলু। এমনকি আলুর মূল্য কমাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানও কোন কাজে আসছে না। এখনও বগুড়ার নানা হাটবাজারে আলু সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর হতে জানা গেছে, খুচরাবাজারে আলু প্রতিকেজি ৩৫ টাকা, পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা এবং হিমাগার পর্যায়ে ২৫ টাকায় বিক্রির জন্য মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু এরপরেও বগুড়ার কোনো বাজারেই ৩০ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে পারছেনা কেউ।
এ দিকে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের কারণে খুচরা বাজারে পাকরী (লাল) আলু ৪৫ টাকা এবং কার্ডিনাল আলু ৪০ টাকা কেজি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু একই আলু আড়তে ৩০ টাকা এবং ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বগুড়ার এএইচজেড কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক আতিয়ার রহমান জানান, নানা ব্যবসায়ী হিমাগারে আলু মজুদ করেন। এখান থেকে তারাই আলু বিক্রি করেন। সরকার আলুর মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পর আমরা নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্র হতে জানা গেছে, দেশে আলু উৎপাদনে শীর্ষ জেলা হচ্ছে বগুড়া। ২য় রংপুর জেলা, তৃতীয় দিনাজপু্র ও ৪র্থ জয়পুরহাট। দেশের আলুর সকল চাহিদা মেটায় উত্তরাঞ্চলের এই জেলাগুলো। বগুড়া জেলায় বছরে আলুর চাহিদা থাকে ১ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন। অতিরিক্ত আলু ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের নানা জেলায় যায়।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে