ষষ্ঠী পুজার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে পাঁচদিনব্যাপী শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা। এই উৎসব শেষ হবে আগামী সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে। করোনার প্রভাবে এই বছর অনেক বিধিনিষেধ মেনে শুধুমাত্র সাত্ত্বিক ভাবেই পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কাপ্তাই উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কান্তি ভট্টাচার্য জানান, এই বছর কাপ্তাইয়ের রাইখালীর শ্রী শ্রী ত্রিপুরা সুন্দরী কালী মন্দির, চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকার দক্ষিণেশ্বর সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, আদি নারায়ন বৈদান্তিক পূজা মন্ডপ, কেপিএম এলাকার কর্ণফুলী প্রকল্প শ্রী শ্রী হরি মন্দির, শিলছড়ি এলাকার শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির রাম সীতা সংঘ, লকগেইট এলাকার শ্রী শ্রী জয়কালী মন্দির এবং ব্রিকফিল্ড এলাকার শ্রী শ্রী সার্বজনীন মাতৃমন্দির সহ এই ৭টি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। তিনি বলেন, এই বছর মহামারি করোনার প্রকোপে কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলি নদীতে ঐতিহ্যবাহী বিজয়া নৌ-র্যালী হচ্ছে না।
কাপ্তাই উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ ধর পিন্টু জানান, দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে দুর্গাপূজায় এবার বড় কোন আয়োজন না থাকলেও সুষ্ঠু, সুন্দর পরিবেশে এবং সাত্ত্বিক ভাবেই কাপ্তাইয়ে উদযাপিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এইবার ও বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শান্তি কামনা করে এবং বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস থেকে পরিত্রাণের জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা করা হবে।
কাপ্তাই থানার ওসি নাসির উদ্দীন এবং চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান সনাতনী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম এই ধর্মীয় উৎসব যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন হতে পারে সেজন্য পুলিশের পক্ষ হতে সব ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান সকলকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নির্দেশনা মেনে পুজা উদযাপন করার অনুরোধ জানান।
আনন্দবাজার/শাহী/অর্ণব