ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলায় খালাস হচ্ছে রূপপুরের পরমাণু চুল্লিপাত্র

মোংলায় খালাস হচ্ছে রূপপুরের পরমাণু চুল্লিপাত্র। ইতোমধ্যে রাশিয়া থেকে দেশে পৌঁছানো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা চুল্লিপাত্র ও স্টিম জেনারেটর খালাসের কাজ শুরু হয়েছে মোংলা বন্দরে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকালে এমভি ডেইজি নামে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সকল সরঞ্জাম নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছায়। গতকাল বুধবার সকালে মোংলা বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে ওই জাহাজ থেকে সকল যন্ত্রাংশ খালাসের কাজ শুরু হয় বলে জানিয়েছে কোম্পানি স্বদেশ শিপিং লাইন কর্তৃপক্ষ।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান জানান, রাশিয়া থেকে আসা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়েই খালাস হবে। বর্তমানে প্রকল্পের ১ম ইউনিটের মূল যন্ত্রাংশ খালাস করা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রথম এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি রোসাটম।

তিনি আরও বলেন, এসব পণ্য যাতে ভালোভাবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছায় সে বিষয়ে বন্দরের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন। পরে ২০১৫ সালে প্রকল্প বাস্তবায়নে রোসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সাথে চুক্তি করে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে একনেকর বৈঠকে বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড ব্যয়ের এই প্রকল্পে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর রূপপুরে নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টরের জন্য কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণের উদ্বোধন করেন ।

তবে সরকার আশা করছে, ২০২৩ সালের মাঝ সময়ে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেওয়া সম্ভব হবে। সেই সাথে পরের বছর চালু হবে সমান ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন