আজ পঞ্চমী তিথি বা মায়ের বোধন। নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য এই বোধনের মধ্য দিয়েই শুরু হয় বন্দনাপূজা। আর রাত পোহালেই কাল ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহাষষ্ঠীর মাতৃবন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
এবার চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ১ হাজার ৯১৩ মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে এ দুর্গোৎসব। এর মধ্যে সার্বজনীন ভাবে ১৫২৪ টি ও পারিবারিকভাবে ৩৮৯ টি দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ-চট্টগ্রামের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর বোয়ালখালী উপজেলার কড়লডেঙ্গার মেধস আশ্রমে মাহালয়া উদযাপনের মধ্য দিয়ে এবারেরে দুর্গোৎসবের শুভ উদ্বোধন করা হয়। আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পঞ্চমী তিথি হচ্ছে মায়ের বোধন।
পঞ্জিকা মতে, বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) ষষ্ঠী তিথিতে সন্ধ্যায় শ্রীশ্রী দুর্গাদেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস, শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সপ্তমীবিহিত পূজা, শনিবার (২৪ অক্টোবর) মহাষ্টমী তিথিতে মায়ের পূজা, রোববার (২৫ অক্টোবর) মহানবমী বিহিত পূজা এবং সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে পূজা শেষে মায়ের গমন গজে (হাতি) চড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতিবছর উৎবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে এবার বৈশ্বিক করেনা মাহামারি পরিস্তিতিতে নিজে সুস্থ থাকা ও অপরকে নিরাপদ রাখার প্রত্যয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষে উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবিন্দ ও পুজামন্ডপ গুলোকে ১০ টি বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – পুজামণ্ডপে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের জন্য খোলামেলা রাখা, স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে প্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা ও স্ংস্কৃতিক সমাবেশ ও শোভাযাত্রা পরিহার করা, পূজা মন্ডপের প্রবেশ মুখে বাধ্যতামূলক স্প্রে ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা, পূজার্থী ও দর্শনার্থীদের মুখে বাধতামূলক মাস্ক পরিধান করা, শারীরীক দুরত্ব মেনে মন্ডপে প্রবেশ ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা।
এছাড়া ওয়ার্ল্ড হেরিটেইজ হালদা নদীর সুরক্ষার জন্য এই নদীতে প্রতিমা নিরজ্ঞন পরিহারে সকলকে আহ্বান জানানো হয়।
আনন্দবাজার/শাহী/মতিন