ঢাকা | মঙ্গলবার
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাত ধোয়ার বেসিন আছে, পানির কল নেই

ভয়ঙ্কর প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায় হলো সাবান দিয়ে নির্দিষ্ট সময় পর পর হাত ধোয়া। করোনা প্রতিরোধে সবাইকে বেশি বেশি হাত ধোয়ার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক সংগঠন।

মাতারবাড়ীতে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেলে-করোনা প্রতিরোধে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) বাস্তবায়নে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন স্থাপন করা হয়। কিন্তু করোনার সময় দীর্ঘকাল হয়ে গেলে ও ইউনিয়ন পরিষদের এই বেসিনে নেই হাত ধোয়ার জন্য কলের ব্যবস্থা, নেই পানি ও সাবান। ইউনিয়ন পরিষদে হাত ধোয়ার জন্য বসানো বেসিনটা পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়।

ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে প্রবেশের সময় মানুষ হাত না ধুয়ে প্রবেশ করছেন। প্রতিদিন এখানে প্রায় বিভিন্ন এলাকা দু’শতাধিক মানুষের আসা-যাওয়া হয়। এতে করোনা ভাইরাস বাড়ার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ।

সরজমিনে দেখা যায়, মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত বেসিনটি দীর্ঘদিন হলে ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য কোন কলের ব্যবস্থা নেই, নেই পানি ও সাবানের ব্যবস্থা। যেখানে করোনা সংক্রামণের সর্বোচ্চ ঝুঁকি সেখানে বেসিনের এই অবস্থা। দেখে মনে হচ্ছে, বর্তমানে বেসিনে দীর্ঘদিন কারো নজর পড়ে নাই। ফলে বেসিনটিতে ময়লা-আবর্জনা জমে যাচ্ছে ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়ন পরিষদে প্রবেশ করা একাধিক লোক বলেন, করোনা প্রতিরোধে হাত ধোয়ার জন্য বেসিনটি অনেক পূর্বে স্থাপন করা হয়েছে নামেমাত্র। প্রতিদিন পরিষদে বিভিন্ন এলাকার মানুষের আসা হয়। কিন্তু স্থাপিত বেসিনে নেই কোন পানির কলের ব্যবস্থা, নেই কোন পানি ও সাবানের ব্যবস্থা। ফলে জরুরি প্রয়োজনে আমরা এসে প্রায় করোনার শঙ্কা নিয়ে কাজ করে বাসায় ফিরে যাই।

মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, আমরা দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করব। করোনার এই দীর্ঘকাল সময়ে এইগুলোর ব্যবস্থা কেন করা হয়নি জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বেসিন যারা দিয়েছে তারা সবদিবে তাই আমরা ঠিক করি নাই। তবে আমরা নিজেরা এটা করব এখন।

করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী, ২০ সেকেন্ড পর পর হাত ধোয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু প্রতিদিন শত শত মানুষের আগমন ইউনিয়ন পরিষদের মত জায়গায় দীর্ঘদিন হাত ধোয়ার জন্য বেসিন বসানো হলে ও পানির কল, পানি ও সাবানের ব্যবস্থা না করাটা নিন্দনীয় মনে করছেন এলাকার সচেতন মানুষ। এতে এলাকার সব জায়গায় বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

আনন্দবাজার/শাহী/কাইয়ুম

সংবাদটি শেয়ার করুন