জয়পুরহাট-২০ বিজিবির অধিনে দিনাজপুরের হিলিসহ আশপাশের সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত ৬ মাসে আমদানি নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্যসহ বিপুল পরিমাণের ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসব পণ্যের মূল্য সাড়ে ১১ কোটি টাকা। মাদক ও চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ১২৬ জন চোরাকারবারিকে আটকও করেছে তারা।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২০২০ সালের মে মাস থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিজিবির অভিযানে উদ্ধার হওয়া পণ্যের মূল্য ছিল সাড়ে ১১ কোটি টাকা। এসব অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য। এর মধ্যে রয়েছে ফেনসিডিল, মদ, বিয়ার, গাঁজা, ইয়াবা ট্যাবলেট, কুপিজেসিক ও বুপ্রেনরফিন ইনজেকশন, হেরোইন, যৌন উত্তেজক সিরাপ, স্কার্প সিরাপ। মানুষ ও গবাদি পশুর ওষধের মধ্যে প্যারোপটিন, ডেক্সন, টার্গেট, ব্যাথানাশক সিটিজেন, নিমিসুলাইড, কপিমল, নিউসিপ, সিজিন ট্যাবলেট, কীটনাশক, ভ্যাকসিন, জমির ঘাস মারার বিষ।
ভারত থেকে অবৈধ পথে আসার সময় শাড়ী, লেহেঙ্গা, থ্রি পিস, প্যান্ট পিস, জিরা, প্লেইং কার্ড, বাই সাইকেল, সবজি বীজ, মটরসাইকেল, ব্যাটারী চালিত ভ্যান গাড়ী/ইজি বাইক, মোবাইল, ক্যামেরা, ইমিটেশন সামগ্রী, হরলিক্স, আতঁশ-বাজী, ভারতীয় গরু, আমেরিকান ডলার, ভারতীয় রুপি, বাংলাদেশী টাকা, ইলিশ মাছ, শিং মাছের পোনা, হাঁসের পালক, খাবার ও বীট লবণসহ বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
জয়পুরহাট-২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মুহম্মদ ফেরদৌস হাসান টিটো আনন্দবাজারকে জানান, চোরাচালন শুন্যের কোটায় আনতে সীমান্তে দ্বায়িত্বরত জোয়ানেরা দিনরাত কাজ করছে। আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি যেন কোন মাদকদ্রব্য সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।
তিনি আরো জানান, সীমান্তের প্রায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। যেসব স্থানে এখনো সিসিটিভি স্থাপন করা হয়নি সেই সব স্থানে সিসিটিভি স্থাপন করা হবে। সেই সাথে মাদকসহ সকল প্রকার চোরাচালান বন্ধ করার কাজে বিজিবির সঙ্গে সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
আনন্দবাজার/শাহী/রুবেল