খুলনার প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিকদের দুঃখের দিন শেষ হবে আজ। ওই পাটকলের চাকরি অবসায়নকৃত ও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ শুরু হচ্ছে সোমবার (১৯-১০-২০২০) থেকে। এরইমধ্যে ৩ হাজার ৬৭৪ জন শ্রমিকের মধ্যে ৪৩১ কোটি টাকার চেক ও সঞ্চয়পত্র বিতরণ করার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মিল কর্তৃপক্ষ।
খুলনা যুগ্ম শ্রম পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলসমূহের বর্তমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধানের উদ্দেশে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় গত ০১ জুলাই থেকে ২৫টি পাটকলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। শ্রমিকদের ৬০ দিনের নোটিশ পে পরিশোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কর্মরত শ্রমিকদের চাকরি গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের অধীনে ১৩%-২৭% অতিরিক্ত সুবিধাসহ অবসায়ন এবং ২০১৩ সাল থেকে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের চূড়ান্ত সকল পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উক্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রমিকদের চূড়ান্ত সকল পাওনা ২ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে প্রাপ্যদের ৫০% সঞ্চয়পত্র এবং ৫০% নগদ অর্থ পরিশোধের লক্ষ্যে বেলা ১১টা হতে প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিলের অফিসার্স ক্লাবের সামনে নগদ অর্থ ও সঞ্চয়পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
খুলনার প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিলের অবসরপ্রাপ্ত ও অবসায়নকৃত (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধাসহ) মোট ৩ হাজার ৮৩৬ জন শ্রমিকের পাওনা নগদ অর্থ ২১৬ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার চব্বিশ টাকা ও মোট ৩৬৭৪ জন শ্রমিকের ২১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৪২ হাজার ৬৭১ টাকা তিনমাস পর পর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
পর্যায়ক্রমে খুব দ্রুত সময়ে অন্য মিলগুলোতেও শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। তবে সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে অনলাইনের মাধ্যমে দিতে হবে। আর তাই ইন্টারনেট ব্যবস্থা সচল থাকার উপর সবকিছু নির্ভর করছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে