কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা নিয়ে চলছে সংঘর্ষ। গতকাল শনিবার দুপুরের পর শুরু হওয়া ওই সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সৈকতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার অভিযান হাতে নিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়ার আগেই দখলদার ব্যবসায়ীরা সুগন্ধা পয়েন্টের শতাধিক মানুষ জড়ো করে রাখেন। সেই সাথে দখলদারদের নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের বেশ কয়েকজন নেতা উসকানিমূলক বক্তব্যও দিতে থাকেন।
সংঘর্ষের ওই ঘটনার জেরে পুলিশ এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করেছে। তবে তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) সচিব আবু জাফর রাশেদ বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী কউক ও জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। ওই সময় বাধা দেওয়ায় ও হামলা করায় পুলিশ আইন প্রয়োগ করেছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ অক্টোবর উচ্ছেদ অভিযানে গেলে দখলদার ব্যবসায়ীরা মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য একদিন সময় নিয়েছিলেন। তাই মানবিক বিবেচনায় তাদের একদিন সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুদিন পর আবার উচ্ছেদ অভিযান চালালে উচ্ছেদ টিমের ওপর হামলা চালায় তারা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কলাতলী সুগন্ধা পয়েন্টে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছে একটি চক্র। পরে কক্সবাজার পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স নেয় ওই দখলদাররা। এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল দখলদারিদের কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) একটি নোটিশ দেয়। কিন্তু ওই নোটিশের বিপক্ষে জসিম উদ্দিনসহ ৫২ জনের সিন্ডিকেটের দখলদাররা একটি রিট আবেদন দায়ের করেন।
পরে একই বছরের ১৬ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করে উচ্ছেদ স্থগিত করার নির্দেশ দেন। পরে ওই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। গর ১ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ শুনানি শেষে হাইকোর্টের রুল ও স্থগিতাদেশ খারিজ করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের রায় দেন।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে