কমতে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের মধ্যে জরুরি পণ্য পেঁয়াজের দাম। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করায় দাম কমার এই ধারা ফিরেছে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, তিনদিনের ব্যবধানে ৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। পুরোদমে এলে কয়েকদিনের মধ্যে দাম আরও কমবে।
দেশের চাহিদার তুলনায় ২৫-৩০ শতাংশ কম উৎপাদন হয় পেঁয়াজ। যে কারণে আমদানির উপর নির্ভর করতে হয় বাংলাদেশকে। আর আমদানির ক্ষেত্রে প্রধান উৎস প্রতিবেশী দেশ ভারত। কিন্তু নানা অজুহাতে প্রতিবছরই একটা সময় রফতানি বন্ধ করে দেশটি।
চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের এমন সিদ্ধান্তে রাতারাতি পেঁয়াজের কেজিতে ২০/২৫ টাকা দাম বেড়ে যায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে সরকার। কয়েকদিনের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বিকল্প দেশ থেকে বড় অংকের পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়। এসব পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ঢুকতে শুরু করায় বর্তমানে দাম নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে।
আমদানির তোড়জোরে দেশি পেঁয়াজের মোকামগুলোতেও বিক্রির প্রবণতা বেড়েছে বলে জানান আড়তদাররা। একজন আড়তদার বলেন, চেন্নাই পোর্ট থেকে এনে কোনভাবেই দেশে বিক্রি করা সম্ভব না। আমাদের মালগুলো দিলে বাজার স্থিতিশীল হতো।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৬ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজের মজুদ আছে, যা প্রায় আড়াই মাসের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। আর আগাম জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস