জানা গেছে, পৃথিবীজুড়ে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর থেকে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। মেয়েদের শিক্ষার অধিকার, পরিপুষ্টি, আইনি সহায়তা ও ন্যায্য অধিকার, চিকিৎসা সুবিধা ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা, নারীর বিরুদ্ধে হিংসা ও বলপূর্বক বাল্যবিবাহ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে নিয়ে দিবসটির সূচনা হয়।
দিবসটি পালনের বিষয়ে জানতে চাইলে আমাল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ইশরাত করিম ইভ বলেন, ‘আমাদের সমাজে কন্যা শিশুদের বোঝা মনে করা হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কন্যারা বোঝা নয়। যদি প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে কন্যাদের গড়ে তুলতে পারি তবেই সমতার মাধ্যমে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ তথা পুরো পৃথিবী। বর্তমানে সরকারের কন্যা শিশুর শিক্ষা, বাল্যবিবাহ রোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ কিছু পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু তারপরেও কন্যাদের প্রতি অবহেলা কিংবা কাজের সুযোগ তৈরিতে বাধাগ্রস্থ করছে কিছু মানুষ। আমাল ফাউন্ডেশন চায় এ ধরণের বাধার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। এজন্য আমরা বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দির প্রত্যন্ত চরের সুবিধাবঞ্চিত কন্যাদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করতে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। কন্যাদের সাবলম্বী করতে দক্ষতা কেন্দ্র রয়েছে আমাদের। এ বছর আমরা ‘রুখে দাঁড়াও’ নামের একটি ক্যাম্পেইনেরও আয়োজন করেছি।’
উল্লেখ্য, কানাডা প্রথম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালনের প্রস্তাব দেয়। পরে ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালন করা হয়। প্রথম আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘বাল্য বিবাহ বন্ধ করা।’