আজ সেই ভয়াল ১০ অক্টোবর। ৭১ এর এই দিনে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ চড়ারহাটে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী প্রায় শতাধিক ঘুমন্ত নিরীহ গ্রামবাসীকে ভোর রাতে বাংকার খোড়ার কথা বলে ডেকে এনে তাদের একত্রিত করে ব্রাশ ফায়ারে নির্মম ভাবে হত্যা করে। গুনে গুনে মৃত্যু নিশ্চিত করে সেখান থেকে চলে যায় খান সেনারা, পরে গুলি বিদ্ধ ১১ জন প্রানে বেঁচে গেলেও সেখানে শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সে গণহত্যার কথা মনে করে এখনো কেঁদে ওঠেন এখানকার মানুষ।
স্বাধীনতা যুদ্ধে ভয়াল ঘটনার রুপ নিয়েছিল এই দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায়। পুটিমারা ইউনিয়নের প্রাণকৃষ্ণপুর, আন্দোলগ্রাম, সারাইপাড়ায়, খয়েরগুনি ৪ টি গ্রামের ১ শ ১৯ জন লোককে গুলি করে হত্যা করে পাক-হানাদার বাহিনী। গ্রামেও হত্যাযজ্ঞ চলে ঘরে ঘরে বাড়ীতে বাড়ীতে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গ্রামের পর গ্রাম। পঙ্গু হয়েছেন অনেকেই। সম্ভ্রম হানির ঘটনাও ঘটেছিল এসব গ্রামে। এলাকার বিরঙ্গনারা লজ্জায় মাথা উঁচু করে সমাজে কিছু বলতে পারেন না। দারিদ্রতার নির্মম কষাঘাতে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা। পরে গ্রামবাসীরা মৃত্যু ব্যাক্তিদের পার্শ্বের জমিতে কবর খুড়ে তাদের গণকবর দেয়।
দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার ফোরাম উপজেলার চড়ারহাটে শহীদদের স্বরনে নির্মান করেছে শহীদ মিনার। এলাকার মুক্তি যোদ্ধারা দিনটি পালনে কালো ব্যাচ ধারন ও সকালে দোয়ার আয়োজন করেছে।
আনন্দবাজার/শাহী/মাসুদ