হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের প্রত্যন্ত হাওড় এবং চা বাগানের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতিতে স্থানীয় হাসপাতালসমূহে চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের সংকট দেখা দিয়েছে। আবার অনেকেই করোনার ভয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল অথবা চিকিৎসকদের চেম্বারেও যেতে অনীহা। এমন পরিস্থিতির ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
তাই সুবিধাবঞ্চিত এসব মানুষের কথা চিন্তা করে এবং স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্যাভলন এবং বেসরকারি সংস্থা আগ্রহের উদ্যোগে গত ১৫ আগস্ট থেকে চালু করা হয়েছে স্যাভলন মোবাইল হাসপাতাল। স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকা এবং করোনা পরিস্থিতি, এই দুই বিষয় অনুধাবন করেই স্যাভলন এবং আগ্রহের পক্ষ থেকে এই মোবাইল হাসপাতাল চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই মোবাইল হাসপাতালে দু’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, একজন নার্স এবং দুইজন সাহায্যকর্মী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। কার্যক্রমটি শুরু হবার পর থেকে এ পর্যন্ত চুনারুঘাট উপজেলাতে এই উদ্যোগের মাধ্যমে ২,৬০০ এর বেশি রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। হাসপাতালটির মাধ্যমে সাধারণ চিকিৎসা এবং প্রাথমিক শল্য চিকিৎসা উভয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা রোগ থেকে প্রতিরোধের উপায় নিয়ে পরামর্শ এবং হাত ধোয়ার জন্য সাবানও বিতরণ করা হয়েছে।
করোনা প্রতিরোধের সকল নিয়ম মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকল কার্যকম পরিচালনা করা হয়েছে। স্যাভলন এবং আগ্রহের এ রকম ব্যতিক্রমধর্মী চিকিৎসা কার্যক্রমে এলাকার মানুষ এবং স্থানীয় সরকার প্রশাসন সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আগ্রহের হেড অব স্ট্রাটেজিক ম্যানেজমেন্ট দূরদানা তাবাসসুম নওরীনের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। আগ্রহের চেয়ারপারসন ডালিয়া রহমান এ মহৎ উদ্যোগে সহায়তার জন্য স্যাভলনকে ধন্যবাদ জানান এবং দেশের অন্যান্য উপজেলাতেও এই হাসপাতালের কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে বলে জানান।
আনন্দবাজার/ইউএসএস