ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বারি’তে উদ্যান ফসল চাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবন শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)’র উদ্যানততত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে ‘বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের মাঠে ও ছাদে উদ্যান ফসল চাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবন’ শীর্ষক প্রকল্পের দিনব্যাপী প্রারম্ভিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (১০ অক্টোবর, ২০২০) ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)’র এনএটিপি ফেজ-২ প্রকল্পের অর্থায়নে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

বারি’র উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক এবং এই প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ড. আবেদা খাতুনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. মিয়ারুদ্দীন। এছাড়াও কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. এস. এম. শরিফুজ্জামান, বিএআরসি’র পরিচালক (পিআইইউ-বিএআরসি, এনএটিপি-২) ড. মো. হারুনুর রশিদ। কর্মশালার কারিগরি সেশনে বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক (অবঃ) ড. মো. মোফাজ্জল হোসেন। বারি’র ফুল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফারজানা নাসরীন খান এর সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং এই প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর (কম্পোনেন্ট-১) ড. কবিতা আনজু-মান-আরা। কর্মশালায় বারি’র অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালার কারিগরি সেশনে প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বারি’র ফুল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর (কম্পোনেন্ট-১) ড. কবিতা আনজু-মান-আরা, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর (কম্পোনেন্ট-২) ড. আবুল হাসনাত এম সোলাইমান এবং বারি’র ফল বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর (কম্পোনেন্ট-৩) মনিরুল ইসলাম।

এদিকে কর্মশালায় বক্তারা জানান, বাংলাদেশে শহরাঞ্চলের খোলা জায়গা এবং ছাদে ফুল, ফল, সবজিসহ বিভিন্ন ধরণের উদ্যান ফসল চাষের বিপুল সুযোগ রয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন মানুষ নিজেদের উৎপাদিত ফসল খেতে পারবে, তেমনি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি শহরাঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষায়ও বিশেষ ভূমিকা রাখবে। শহরাঞ্চলের খোলা জায়গা এবং ছাদে বাগান করার মাধ্যমে তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব। বর্তমানে ছাদে বাগান করা হলেও তা সঠিক ব্যবস্থাপনায় না হওয়ার কারণে ফলপ্রসূ হচ্ছে কিনা। এই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রদানই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

আনন্দবাজার/শাহী/সবুজ

সংবাদটি শেয়ার করুন