বর্তমানে দেশে কফির চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। তাই চায়ের পাশাপাশি কফি চাষের প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বর্তমানে দেশের উত্তরাঞ্চলে কফি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্র হতে জানা গেছে, রংপুরের মাটি তুলনামূলক কম খরা সম্পন্ন হওয়ায় কফি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এই ব্যাপারে কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে চা চাষের ইতিহাস অনেক দিনের হলেও কফি চাষ খুব বেশি দিনের নয়। গেল কয়েক বছরে উত্তরাঞ্চলে বেশ কিছু জেলায় চা চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। বর্তমানে সেখানে বেশ উৎকৃষ্টমানের চা উৎপাদিত হয়। আর উত্তরাঞ্চলে চা চাষের সফলতার পর এবার কফি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
দেশের পার্বত্য জেলাগুলোয় বেশকিছু কফি বাগান গড়ে উঠলেও উত্তরাঞ্চলে কফির চাষ এই প্রথম। ইতোমধ্যে, কিছু আগ্রহী কৃষকের হাত ধরে উত্তরাঞ্চলের নানা জেলায় কফি চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে। তাদেরই একজন রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের গোয়ালবাড়ি গ্রামের মোখলেছুর রহমান।
তিনি ২০১৭ সালে প্রথম কফি চাষ শুরু করেন। কক্সবাজারের একটি নার্সারি থেকে ৮০০টি কফি গাছের চারা নিয়ে আসেন। এরপর নিজের ২৮ শতাংশ জমিতে সেই চারাগুলো দিয়ে শুরু করেন কফি চাষ। প্রায় দেড় বছরের মাথায় গেল বছর বাগানের অল্প কিছু গাছে প্রথম কফির ফুল আসে এবং ৫ কেজি শুকনো কফি বীজ সংগ্রহ করেন তিনি।
প্রথমে কফির পরিপক্ক বীজগুলোকে চটের বস্তায় নিয়ে হাত দিয়ে ঘঁষে খোসা ছাড়ানো হয়। পরে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকানো হয়। এরপর শুকনা বীজগুলোকে আবার চটের বস্তায় নিয়ে লাঠি দিয়ে বীজের ওপরের পাতলা শক্ত আবরণটি ভেঙে ফেলা হয়।
তারপর বীজগুলোকে চুলায় ভালোভাবে ভেজে আটা ভাঙানো মিলে ভাঙিয়ে গুড়ো করে নেওয়া হয়। তবে গুড়ো করা সেই কফি বীজের কিছু নিজেদের ব্যবহারের জন্য রেখে বাকিটা আত্মীয়-স্বজনদের দিয়েছিলেন তিনি।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে