ঢাকা | বুধবার
৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উন্মুক্ত করে দেয়া হল দৃষ্টিনন্দন গোলদিঘী পুকুর 

পুকুরের মাঝখানে মনোমুগ্ধকর নানান রকমের ওয়াটার মিউজিক্যাল ‘শো’ উপস্থিত হাজারো দর্শনার্থীদের করতালির মধ্য দিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটক ও স্থানীয় বিনোদন প্রেমিদের  জন্য উম্মুক্ত হল দৃষ্টিনন্দন ঐতিহ্যবাহী গোলদিঘি পুকুর।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গুটিগুটি বৃষ্টি উপেক্ষা করে  কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) নির্মানাধীন শহরের ঐতিহ্যবাহী লালদিঘী, গোলদিঘী ও বাজারঘাটা পুকুরের ভৌত সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন প্রকল্পের  উদ্বোধন করেন,গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এম.পি।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত লালদিঘী, গোলদিঘী ও বাজারঘাটা পুকুরের সৌন্দর্য্য বর্ধন ওই এলাকার পর্যটনের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এ জন্য তিনি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে এ রকম উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান এবং এ সব উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাসও দেন মন্ত্রী।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব আবু জাফর রাশেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে আধুনিক রূপে সাজানোর জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, লালদিঘী, বাজারঘাটা ও গোলদিঘীর পুকুর সৌন্দর্য্য বর্ধনের পাশাপাশি প্রধান সড়ক সংস্কারসহ প্রশস্তকরণ, পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন, বঙ্গবন্ধু থিম পার্ক, বঙ্গবন্ধু স্মার্ট সিটি বাস্তবায়নসহ আরো বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে সকলের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সাইমুম সরওয়ার কমল এম.পি, ময়মনসিংহ-১০ আসনের ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এম.পি,সংরক্ষিত মহিলা আসনের কানিজ ফাতেমা মোস্তাক এমপি।এতে আরও বক্তব্য রাখেন, রাজনৈতিক, বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
কউক সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরকে একটি পরিকল্পিত পর্যটন নগরী হিসেবে গড়তেই ৩৬ কোটি টাকা ব্যায়ে  শহরের লালদীঘি, গোলদীঘি ও বাজারঘাটাস্থ নাপিতা পুকুরকে কেন্দ্র করে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিন পুকুরের মধ্যে গোলদীঘি ও বাজারঘাটাস্থ নাপিতা পুকুরের কাজ শেষ পর্যায়ে। এর মধ্যে পুকুর দুটির সবুজ বেষ্টনী, সাইকেল স্ট্যান্ড, পুকুরের পাড়, ওয়াকওয়ে, রিটেইনিং আলোকসজ্জা মানুষের নজর কেড়েছে। দৃষ্টিনন্দন পুকুর দুটিকে ঘিরে এখন বিনোদন প্রেমীদের দিবারাত্রি আনাগোনা সেখানে।
তিন পকুরের মধ্যে লালদীঘি পুকুরটি জৈনিক ব্যক্তির হাইকোর্টে একটি রিটের কারণে মাঝখানে কিছুদিন কাজ বন্ধ ছিল। তবে রিট টি  খারিজ করে দেয়ায় এখন পুরোদমে লালদীঘি পুকুরের কাজ চলছে।
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, গোলদিঘি পুকুরটি পর্যটকসহ স্থানীয় বিনোদন প্রেমিদের জন্য এর মধ্যে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
বাজারঘাটাস্থ নাপিতা পুকুরের কাজও  প্রায় শেষ, সেটিও খুব শিগগিরই দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। আর শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে লালদিঘী পুকুরের কাজও এখন পুরোদমে এগিয়ে চলছে। দ্রুত কাজ শেষ করে সেটিও সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
দৃষ্টিনন্দন এই তিন পুকুরই পর্যটন খাতে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে। একই সাথে কক্সবাজার শহরের চিত্রই পাল্টে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আনন্দবাজার/শাহী/জসীম

সংবাদটি শেয়ার করুন