মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও বেড়েছে সোনার চাহিদা। এদিকে কয়েক দফা দাম বাড়ার পরও ক্রেতাদের মধ্যে এর চাহিদা একটুও কমেনি। আর এ চাহিদা মেটাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা মনোযোগ বাড়িয়েছেন আমদানির দিকে।
ইতোমধ্যে সরকার অবৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি ঠেকাতে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। সেই নীতিমালা বাস্তবায়নে দেশে স্বর্ণ আমদানি করতে একটি ব্যাংকসহ ১৯ প্রতিষ্ঠানকে দুই বছরের জন্য লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, নীতিমালার পর দেশে বৈধ পথে প্রথম স্বর্ণ আমদানি শুরু করে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। এছাড়া ছয় প্রতিষ্ঠানের ডিলারশিপের অনুকূলে আরও সাড়ে ৫২ কেজি স্বর্ণ আমদানির আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, বর্তমানে দেশের বাজারে ১৫ থেকে ২০ টন স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে। ব্যাংকিং জটিলতা যদি সহজ না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে স্বর্ণ আমদানি কঠিন হবে। আমরা চাই যেন এই প্রক্রিয়াটা আরো সহজ করা হয়।
সর্বশেষ চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত দাম অনুযায়ী দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৭৪ হাজার ৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭০ হাজার ৮৫৯ টাকা, আর ১৮ ক্যারেটের সোনা ৬২ হাজার ১১১ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৫১ হাজার ৭৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস