ঢাকা | শুক্রবার
৩রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ মাশরাফির ৩৭তম জন্মদিন

বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার ৩৭তম জন্মদিন আজ। ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইলে জন্মগ্রহণ করেন দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম এই অধিনায়ক ও পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা।

২০০১ সালের নভেম্বরে মাত্র ১৮ বছর বয়সে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় মাশরাফির। বৃষ্টির কারণে ওই ম্যাচের শেষ দুইদিনের খেলা হয়নি, ম্যাচের ফলাফল হয় ড্র। তবে জিম্বাবুয়ের একমাত্র ব্যাটিং করা ইনিংসে ৪ উইকেট শিকার করেছিলেন মাশরাফি।

জিম্বাবুয়ের একই সফরের ওয়ানডে সিরিজে রঙিন পোশাকেও পথচলা শুরু হয় এ পেসারের। ওই ম্যাচে ৮.২ ওভার বোলিং করে ৩ মেইডেনের সহায়তায় মাত্র ২৬ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছিলেন অভিষিক্ত মাশরাফি।

অধিনায়কের ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে টেস্ট খেলতে পেরেছেন মাত্র ৩৬টি। যার সবশেষটি ২০০৯ সালে। ইনজুরির কারণে এরপর আর সাদা পোশাকে খেলতে পারেননি তিনি। তবু এখনও পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী পেসারের নাম মাশরাফি বিন মর্তুজা। টেস্টে তার মোট উইকেট ৭৮। এবং ব্যাট হাতে তিন ফিফটিতে রয়েছে ৭৯৭ রান।

ওয়ানডেতেও ম্যাচ কিংবা উইকেটসংখ্যায় তিনিই বাংলাদেশের সবার ওপরে। ওয়ানডেতে শিকার করেছেন দেশের সর্বোচ্চ ২৭০ উইকেট। আর ব্যাট হাতে সংগ্রহ ১৭৮৭ রান।

২০০৬ সালে দেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে টি-টুয়ান্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয় মাশরাফির। আনুষ্ঠানিকভাবে টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নিয়েছেন ২০১৭ সালের এপ্রিলে। এর ফরম্যাটে ৫৪ ম্যাচে ৪২ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ১৩৬ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ৩৭৭ রান।

নিঃসন্দেহে দেশের ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক, অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে দেশের ইতিহাসের সেরা অধিনায়কও বটে। ২০১৪ থেকে তার পরবর্তী সময়ে তার হাত ধরেই সেরা সাফল্যগুলো পেয়েছে বাংলাদেশ। খেলেছে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে, পৌঁছে গেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে, এশিয়া কাপের রানারআপ হয়েছে দুই আসরেই। প্রথমবারের মতো বহুজাতিক সিরিজের শিরোপা এসেছে মাশরাফির অধিনায়কত্বেই।

ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশকে ৮৮ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। যার মধ্যে জিতেছেন ৫০টিতে। টি-টোয়েন্টিতেও মাশরাফির অধীনে সর্বোচ্চ ১০টি ম্যাচে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন