তানিয়া মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে নাম লিখিয়েছেন অনেক দিন আগেই। গেলো ৩ অক্টোবরে আলম মাল্টিমিডিয়া ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তিপায় “বঙ্গমাতা আদর্শ” ধারাবাহিক নাটক, তাঁকে সেই নাটকের প্রধান নায়িকার চরিত্রে দেখা যায়। দর্শক নন্দিত জনপ্রিয় এ-ই ধারাবাহিক নাটক ইতি মধ্যে দর্শকের মন জয় করেছে।
করোনার জন্য ঘরে বসে থাকতে চাননি বলেই কি সবার আগে অভিনয় শুরু করেছেন জানতে চাইলে তানিয়া বলেন, আমি তো একা নই, অনেকেই বন্দিজীবন থেকে মুক্তি চেয়েছেন। যখন দেখলাম, সহকর্মীদের অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজে ফিরতে চাইছেন, তখন আমিও সাহস পেয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সতর্ক হয়ে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছি।
একক নাটকের শুটিং হয় দুই থেকে তিন দিন। কিন্তু ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করতে গেলে টানা শুটিং করতে হবে তা কি ভেবেছিলেন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একক, ধারাবাহিক যেটাই হোক, কাজের ধরন তো একই। ভয় সব কাজেই আছে। নিজের নিরাপত্তার দিকটি নিজেকেই দেখতে হবে। আমার দিক থেকে যতটা সতর্ক থাকা সম্ভব, ততটা সতর্ক থেকেই কাজ করছি। মানছি একক নাটকের কাজ দুই থেকে তিন দিনে শেষ হয়। কিন্তু আপনি যদি বেশ কিছু নাটকে একসঙ্গে কাজ করেন, তাহলে শুটিং শিডিউলের কোনো গ্যাপ থাকবে না।
প্রতিদিন যদি একক নাটক বা টেলিছবির কাজ করা যায়, তাহলে ধারাবাহিকে কেন কাজ করা যাবে না এই প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা ভেবেই “বঙ্গমাতা আদর্শ” নাটকে অভিনয় করেছি। তার চেয়ে বড় বিষয় হলো, এ নাটকের প্রধান নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে নতুনভাবে তুলে ধরার সুযোগ আছে। পলাশ খানের পরিচালনা ও কাজের পরিকল্পনা বেশ গোছানো।মানুষ হিসাবে খুবি বুদ্ধিমান এক জন । তাই সবদিক বিবেচনা করেই ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করা।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, বর্তমান রাজনীতি উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই ধারাবাহিক নাটক। এ নাটকে আরো অভিনয় করেছেন, আমির সিরাজী , খালেদা আক্তার কল্পনা , নিরঞ্জন, হিমেল রাজ, রাজীব, এবং শেখ শাহ্ আলম।
আনন্দবাজার/শাহী