ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ১ লাখ টাকা শিক্ষাবিমা দেবে সরকার

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তায় নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শিক্ষার্থীদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা’ নামে বিমা পলিসি চালুর কাজ শুরু হয়েছে। টাকার অভাবে যাতে কারোর শিক্ষাজীবন নষ্ট না হয়, সে জন্য এই পদক্ষেপ। এর পলিসি অনুযায়ী, মাসে ২৫ টাকা আর বছরে ৩০০ টাকা। যার বিমা অঙ্ক হবে এক লাখ টাকা।

সূত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)-সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বৈঠক করেছে। এ সংক্রান্ত খসড়ায় কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। বিমার সঙ্গে স্কুল ব্যাংকিংও যুক্ত করতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত জুন পর্যন্ত দেশে ২৪ লাখ ৩১ হাজার ৬০২টি স্কুল ব্যাংকিং হিসাব ছিল। তাতে টাকা আছে এক হাজার ৭৬৩ কোটি।

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘মুজিব বর্ষে বিমা খাতের উপহার হিসেবে পলিসিটি চালু হবে। এতে অন্তত গরিবের সন্তানদের শিক্ষাজীবন নষ্ট হবে না।’

আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান এ কে এম মোশারফ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চালু হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবিমা’। মুজিব বর্ষেই বিমাটি চালু করা যাবে বলে আশা করছি।’

আইডিআরএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা বিমার আওতায় আসবে। তাদের পক্ষে পলিসি করবেন বাবা-মা অথবা অভিভাবক এবং তাঁদের বয়স হবে ২৫ থেকে ৬৫ বছর। প্রিমিয়ামের টাকা জমা দিতে হবে ব্যাংকে। পলিসির মেয়াদ থাকবে এক থেকে ১২ বছর। আর শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ ও বিমাগ্রহীতার বয়স ৬৫ বছর হলেই পলিসি মেয়াদোত্তীর্ণ হবে।

এতে বলা হয়েছে, মা-বাবা অথবা অভিভাবক মারা গেলে পলিসি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত মাসে এক হাজার টাকা করে পাবেন শিক্ষার্থীরা। বাবা অথবা মা জীবিত থাকলে তাঁদের অনুমোদনে অন্য কেউও অভিভাবক হতে পারবেন। মা-বাবার অবর্তমানে তার ভরণপোষণকারীও হতে পারবেন। আর বিমাগ্রহীতা স্থায়ী সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক অক্ষম হলে তাকে এককালীন এক লাখ টাকা দেওয়া হবে।

 

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন