গাজীপুরে মহামারি করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মধ্যেও মন্দিরে মন্দিরে শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা। দুর্গাপূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, প্রতিমা তৈরীর শিল্পীদের ব্যস্ততা ততই বাড়ছে। এদিকে গাজীপুর জেলায় এবার ৩৩৪টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর মধ্যে এবার গাজীপুর সদর উপজেলায় ১৮ টি, কাপাসিয়ায় ৫৩ টি, কালীগঞ্জে ৩৫ টি, শ্রীপুরে ৫০ টি, কালিয়াকৈর উপজেলায় ৯০ টি। তবে গাজীপুর মহানগরে এবার পূজা উদযাপন হবে ৮৮টি মন্দিরে যা গতবছর ছিলো ১০০টি। গতবছর গাজীপুর সদর উপজেলায় মন্দিরের সংখ্যা ছিলো ২২টি, কালিয়াকৈর ১২৯টি, কাপাসিয়ায় ৫৮টি, শ্রীপুরে ৫০টি, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৪৬টি।
এদিকে এবার মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গাজীপুর জেলায় দূর্গাপূজা মন্ডপের সংখ্যা কমেছে ৫৯টি। আর মহানগরে মন্ডপের সংখ্যা কমেছে ১২টি। এদিকে জেলা এবং মহানগর মিলিয়ে পুজামন্ডপের সংখ্যা কমেছে ৭১টি। প্রায় প্রত্যেক উপজেলাতেই তুলনামূলক হারে কমেছে পূজা মন্ডপের সংখ্যা। শুধুমাএ শ্রীপুর উপজেলাতেই অপরিবর্তিত রয়েছে দূর্গাপূজা পালনের মন্ডপের সংখ্যা।
এদিকে, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ গাজীপুর জেলার সভাপতি এডভোকেট সুদীপ কুমার চক্রবর্তী দৈনিক আনন্দবাজারকে জানান, এ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষজন ৫-৬ মাস ধরে বেকার হয়ে গেছে এই কারণে চাঁদা দিতে কষ্ট হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্ররী দেয়া উপহার ৫০০ কেজি করে চাল দেয়া হবে প্রতিটি পূজা মন্ডপে। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রতিমা তৈরি করতে যেসকল উপকরণ প্রয়োজন তা বর্তমানে দাম স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি। তাই এই সুনিপণ প্রতিমা তৈরীর কারীগরদের পারিশ্রমিক বাড়ানো হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, তিনি আরো বলেন, খড় আর কাঁদামাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরীর প্রাথমিক কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন রঙ আর তুলির আঁচড় দিয়ে দুর্গাকে সাজানো হবে। এদিকে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলেও জেলায় শান্তিপূর্ণ, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবেশের মধ্য দিয়ে পুজা উদযাপিত হবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের গাজীপুর জেলার সভাপতি এডভোকেট সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
আনন্দবাজার/শাহী/সবুজ