বাংলাদেশ শিল্পখাতের অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত চামড়াজাতশিল্প। কিন্তু এ শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাশিত অগ্রগতি না হওয়ার পেছনে বেশকিছু কারণকে দায়ী করেছেন এ খাতের সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা। এ খাতের উন্নয়নে একটি নির্দিষ্ট সংস্থাকে দেখভালের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
গতকাল মঙ্গলবার চামড়া খাত নিয়ে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক অনলাইন সেমিনারে (ওয়েবিনার) তারা এসব দাবি তুলেন।
আলোচনায় অ্যাপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, চামড়াজাত পণ্যের কাঁচামাল থাকা সত্ত্বেও আমরা প্রত্যাশিত অগ্রগতি করতে পারিনি। অথচ ভিয়েতনাম কাঁচামাল না থাকা সত্ত্বেও এ খাতের রপ্তানিতে বহুদূর এগিয়ে গেছে। এ খাতের উন্নয়ন একক সংস্থার ওপর দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বিশেষত, বর্তমান বাস্তবতায় প্রকল্পটি এখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন কেউ কেউ। এ পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানি খাত হিসেবে এ খাতের ভবিষ্যত্ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে দ্রুত ও যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
সাভারের চামড়াশিল্প নগরীর বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে (চীনের একটি কোম্পানি) দায়ী করেন সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, তারা ঠিকমতো কাজ করেনি। এছাড়া প্রকল্পটি ব্যবহার উপযোগী হওয়ার আগেই আদালতের নির্দেশে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারিগুলো যেতে বাধ্য হওয়ায় সমস্যা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছর গিয়ে দেখলাম সিইটিপিসহ (কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার) প্রকল্পের কোনো কিছুই প্রস্তুত হয়নি। বর্তমানে মাত্রাতিরিক্ত পানির ব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, এটি নিয়ন্ত্রণে না এলে আমরা পানির ওপর কর আরোপ করতে বাধ্য হবো। এছাড়া চামড়াশিল্পের উন্নয়নে ভিয়েতনামের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করা, রপ্তানি পণ্যে চামড়া ও চামড়াবিহীন পণ্য আলাদা করার ওপর গুরুত্ব দেন।
আনন্দবাজার/ইউএসএস