মহামারি করোনাকালে কাজ হারিয়েছেন অনেকেই, আয় কমেছে অধিকাংশ মানুষের। এ অবস্থায় ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধের বিশেষ সুবিধার সময় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে চলতি বছরের শেষ দিন পর্যন্ত কোনও ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও খেলাপি করতে পারবেনা। এ সুবিধা আগে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিল।
আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধ না করলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনও পরিবর্তন আনা যাবে না। এর ফলে বর্তমানে কোনও ঋণগ্রহীতা যদি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে খেলাপি করতে পারবেনা। কিন্তু যদি কোনও খেলাপি ঋণগ্রহীতা এই সময়ের মাঝে ঋণ শোধ করেন, তাহলে তাকে নিয়মিত ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ঋণ অথবা বিনিয়োগের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত উক্ত ঋণ বা বিনিয়োগ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে কোনও ঋণের বা বিনিয়োগের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বিদ্যমান মেয়াদি (স্বল্প মেয়াদি কৃষি ঋণ ও ক্ষুদ্র ঋণসহ) ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি হতে ৩১ ডিসেম্বর সময়কালীন প্রদেয় কিস্তিগুলো ডিফার্ড হিসেবে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট ঋণ বা বিনিয়োগের কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনর্নির্ধারিত হবে।
আনন্দবাজার/এফআইবি