ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বিটি বেগুন’ উৎপাদনে কৃষকদের আয় ৬ গুণ বেড়েছে

কিট প্রতিরোধী ‘বিটি বেগুন’ গ্রহণ করেছে দেশের কৃষক। বিটি বেগুন চাষের ফলে কীটনাশক ব্যবহারের মাত্রা প্রায় ৫১ শতাংশ কমেছে। ফলে বেগুন উৎপাদনের হার ও কৃষকদের আয় আগের তুলনায় প্রায় ৬ গুণ বেড়েছে। তবে বিটি বেগুনের ক্ষেত্রে উৎপাদন ও বিপণন নীতিমালা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেটিও দেখতে হবে।

গত শনিবার রাজশাহী শহরের একটি হোটেলে ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ (এফএফবি) আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ খাদ্যনিরাপত্তা ও জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কৃষিক্ষেত্রের উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত পৃথিবী গড়তে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।

কর্মশালায় বক্তারা জানান, একুশ শতকের কৃষি মানেই প্রযুক্তির ছোঁয়া। বিজ্ঞানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন ফসল ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছেন। বিজ্ঞানের আশীর্বাদে এখন ফসল বোনা থেকে খাবার টেবিল পর্যন্ত সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে সহজসাধ্য করে তুলেছে। বিজ্ঞানের সুনিপুণ কৌশলকে কাজে লাগিয়ে ফসলের বীজ ও উদ্ভিদে অভ্যন্তরীণ কাঠামোয় পরিবর্তন ঘটিয়ে মানুষের প্রয়োজন মেটানোর প্রচেষ্টাও অব্যাহত আছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাতিল সিরাজ তার মূল প্রবন্ধে বলেন, বিজ্ঞান বিষয়ক তথ্য প্রচারে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। সামাজিক সচেতনতা এবং নতুন নতুন প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক সংবাদ প্রকাশ আমাদের টেকসই ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে ইতিবাচক সুফল বয়ে আনবে।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন