ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বোচ্চে রাশিয়ার গমের রফতানিমূল্য

রাশিয়ায় বাড়তে শুরু করেছে গমের দাম। সম্প্রতি রাশিয়ায় গমের রফতানিমূল্য বেড়ে ২০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠেছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিসর, বাংলাদেশ ও তুরস্কে রাশিয়া থেকে রফতানিযোগ্য গমের চাহিদা বেড়েছে। এটা রুশ গমের রফতানিমূল্য বাড়ানোর পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।

রাশিয়ার বাজারে ২২ সেপ্টেম্বর ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) চুক্তিতে রফতানিযোগ্য সাড়ে ১২ শতাংশ প্রোটিনসমৃদ্ধ প্রতি টন গমের রফতানিমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৩৮ ডলারে। ১ সেপ্টেম্বরের তুলনায় দেশটির বাজারে রফতানিযোগ্য এই পণ্যটির দাম বেড়েছে টনপ্রতি ২৪ ডলার ৭৫ সেন্ট। গত ২০ মাসের মধ্যে এটাই রাশিয়ায় গমের সর্বোচ্চ রফতানিমূল্য।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাড়তির দিকে রয়েছে রাশিয়া থেকে মিসর, বাংলাদেশ ও তুরস্কে গম রফতানি। অন্যদিকে প্রতিকূল আবহাওয়ার জের ধরে ফ্রান্স, রোমানিয়া ও ইউক্রেনে পণ্যটির উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ দুটি কারণেই মূলত রাশিয়ায় গমের রফতানিমূল্য বাড়তে শুরু করেছে। যেহেতু ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইউক্রেনে উৎপাদন ব্যাহত হয়ে রফতানি কমতে শুরু করলে গমের ক্রেতারা রাশিয়ার দিকে ঝুঁকবেন। এর ফলে আগামী দিনগুলোয় রাশিয়া থেকে কৃষিপণ্যটির রফতানি আরও বাড়তে পারে।

গত ১ জুলাই রাশিয়ায় গমের ২০২০-২১ বিপণন মৌসুমের শুরু থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১ কোটি ১ লাখ টন গম রফতানি হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার ফেডারেল সেন্টার অব কোয়ালিটি অ্যান্ড সেফটি অ্যাসুরেন্স ফর গ্রেইন অ্যান্ড গ্রেইন প্রডাক্টস। ২০১৮-১৯ মৌসুমের একই সময়ে দেশটি থেকে সব মিলিয়ে ১ কোটি ১২ লাখ টন গম রফতানি হয়েছিল। এরপর এবার সবচেয়ে বেশি গম রফতানি করেছে রাশিয়া।

মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর রাশিয়ায় সব মিলিয়ে ৭ কোটি ৭০ লাখ টন গম উৎপাদন হতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে দেশটিতে মোট ৭ কোটি ৩৬ লাখ ১০ হাজার টন গম উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রামিয়ায় কৃষিপণ্যটির উৎপাদন বাড়তে পারে ৩৪ লাখ টনের বেশি।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন