ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গভীর সংকটে আসামের চা শিল্প

চলতি বছর (২০১৯-২০২০) মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গভীর সংকটে পড়েছে আসামের চা শিল্প। উৎপাদনের সাথে ব্যাহত হয়েছে সরবরাহ। আসামের চা শিল্পে সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ সর্বমোট ১ হাজার ২০০ রুপি হতে পারে বলে ধারণা করছেন শিল্পসংশ্লিষ্টরা।

এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে শিল্পসংশ্লিষ্টরা আসাম রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। সাড়াও দিয়েছে। ইতোমধ্যে চা শিল্পের সম্ভাব্য ক্ষতি কমিয়ে আনতে ঋণ ও ভর্তুকি প্রদানসহ চার ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

৪টি উপায়ের প্রথম পর্যায়ে করোনা মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের অভিঘাত মোকাবেলা করার জন্য আসামের যেসব চা বাগান বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চাইবে। আসাম সরকার তাদের সেই ঋণের বিপরীতে ৩ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধ করে দেবে। এক্ষেত্রে বাগানপ্রতি ঋণের পরিমাণ হতে হবে সর্বোচ্চ ২০ লাখ রুপি। মূলত ক্ষতিগ্রস্ত ছোট ছোট বাগানের লোকসান কমিয়ে আনতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের সহায়তার অংশ হিসেবে বাগানগুলোকে প্রতি কেজি অর্থোডক্স চা উৎপাদনের বিপরীতে ৭ রুপি করে ভর্তুকি দেবে আসাম সরকার। এর মধ্য দিয়ে চা উৎপাদন ও রফতানিতে যে মন্দা ভাব বজায় রয়েছে, তাতে কিছুটা হলেও গতি ফিরতে পারে।

তৃতীয় পর্যায়ে চা গাছের চারা ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে আসাম সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের চা বাগান ও কারখানাগুলোকে ২৫ শতাংশ ভর্তুকির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

আর সর্বশেষ পর্যায়ে আসামের চা শিল্পের জন্য তিন বছর মেয়াদি কৃষি করে অবকাশ সুবিধা দেয়ার কথা জানিয়েছে।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন