ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হুমকির মুখে দেশের সকল নদ-নদী

দূষণ, দখল, ভাঙন ও নাব্যতা সংকটে হুমকির মুখে রয়েছে দেশের প্রায় সকল নদ-নদী। এসব সমস্যার কারণে ইতোমধ্যে জৌলুস হারিয়েছে অসংখ্য নদী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী বাঁচাতে হলে দখল দূষণ বন্ধের পাশাপাশি নদীর গতি প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে।

উজান থেকে নেমে আসা পানির ৯৩ শতাংশই মধ্যাঞ্চলের মাত্র ৭ ভাগ নদী দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ভাঙন ও নাব্য সংকট বাড়ছে। এছাড়া ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদীতে কত শত পরিবেশ ধ্বংস করা স্যুয়ারেজ ও ড্রেনেজ লাইন রয়েছে তার সঠিক হিসেব নেই কারো কাছে। এসব লাইন থেকে নেমে আসা তরল বর্জ্যে প্রতিনিয়ত বিষাক্ত হয়ে উঠছে নদীর পানি।

এদিকে দেশব্যাপী স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রতিনিয়ত দখল করছে নদীর জায়গা। এতে করে দিন দিন সরু হয়ে যাচ্ছে প্রশস্ত নদগুলো। পাশাপাশি বিরূপ আচরণ করছে প্রকৃতিও। উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে ভাঙনের পাশাপাশি পলি পড়ে গতি প্রকৃতি হারাচ্ছে মধ্যঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের নদ-নদী।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, নদীর মালিক রাষ্ট্র কঠোর না হওয়াতেই খেসারতের পরিমাণ বাড়ছে। দূষণ তো আর নদী নিজে করে না, এটা মানুষ করে। সব বর্জ্য এখানে এনে ফেলা হয়।

নদী রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত থেকে নেমে আসা পানির পলি কীভাবে ব্যবস্থাপনা করা যায় তা নিয়ে গবেষণা চলছে। বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, শুরুতে আমাদের চারপাশের নদীগুলো নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করা হচ্ছে।

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, ভারত, নেপাল, চীনে বৃষ্টি হলেই ৯০ ভাগ আমাদের এই নদীর ওপর দিয়েই চলে। ২০২১ সালের ডেলটা প্ল্যান হলে এসব থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যাবে।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন