সম্প্রতি অস্থির হয়ে উঠেছে ভোজ্যতেলের বাজার। গেল রবিবার প্রতি মণ পাম অয়েলের মূল্য বেড়ে ৩ হাজার ১২০ টাকায় দাঁড়ায়, এটি ছিল বিগত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর গত সোমবার থেকেই শুরু হয় ভোজ্যতেলের উত্থান-পতন। আর তাতেই দেশের বাজারে সৃষ্টি হয় অস্থিরতা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী মিলগুলো থেকে সরবরাহ একেবারেই কমে যাওয়ায় বাজারে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে ভোজ্যতেলের দাম। বর্তমানে গত এক দশকের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। আমদানি ও সরবরাহ নিশ্চিত না হলে মূল্য আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে টানা দুই মাসের ঊর্ধ্বগতির পর এক সপ্তাহের ব্যবধানেই মূল্যের এমন উত্থান-পতনে পাইকারি পর্যায়ে ভোজ্যতেলের ব্যবসায় ব্যাপক ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে দেশে ভোজ্যতেলের বাজার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পেছনে আমদানি হ্রাস পাওয়াকেও দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, দেশে পাম অয়েল আমদানিতে প্রধান দুটি উৎস হচ্ছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে উত্তোলন মৌসুম শুরু হলেও করোনার প্রভাবে শ্রমিক না থাকায় মজুদ এবং সরবরাহ সংকটে রয়েছে দেশ দুটির উৎপাদকরা। ফলে এতে দেশ দুটি থেকে আমদানি অনেক কমে যায়।
এই ব্যাপারে সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স) বিশ্বজিৎ সাহা জানান, বৈশ্বিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চলতি বছর দেশের বাজারেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। করোনা কারণে অনেকদিন চাহিদা ও সরবরাহে জটিলতা থাকলেও বর্তমানে দুটোই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এ কারণে বাজারে হঠাৎ চাহিদা বাড়াতে বাজারেও এর প্রভাব পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তাই আমদানি স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে আমদানিকারকরা সংকট এড়ানোর চেষ্টা করছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে