বঙ্গবন্ধু যে পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে গেছেন “সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়”-এই নীতিতেই চলছে বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতিসংঘ অধিবেশনে ঐতিহাসিক বাংলায় ভাষণের ৪৬ বছর পূর্তি এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমি ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ আমরা সম্পন্ন করবো, জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তি বাংলাদেশের বিরাট সাফল্য যা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে এসেছে। ১৫ আগস্টে পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে, রিফিউজি হিসেবে থাকতে হয়েছে। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সময় পেয়েছি, ৮১ সালে দেশে ফিরে পুরো দেশ ঘুরেছি, প্রকৃত অর্থে কোন গনতন্ত্র তখন ছিলো না।
তিনি আরো জানান, প্রাকৃতিক এবং মানুষের তৈরি নানা দুর্যোগ মোকাবিলা করেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। আমাদের মুল লক্ষ্য তৃণমূল মানুষ, পরিবেশ রক্ষার জন্য সমগ্র বাংলাদেশে আমরা বৃক্ষ রোপণ করবো। করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বই ক্ষতির শিকার হচ্ছে। প্রণোদনা আমরা দিয়েছি যাতে অর্থনীতি সচল থাকে, সবাই সহায়তা পায়। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ লাগতে পারে, বাংলাদেশে যেন তার ছোঁয়া না লাগে আমি সে লক্ষ্যে কাজ করছি। আগের চেয়ে প্রবৃদ্ধি আরও বৃদ্ধি করার কথাও বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, বঙ্গবন্ধু যে পরিবেশের কথা বলেছেন, মানবাধিকার, ন্যায় বিচারের কথা বলেছেন সেসব নিয়েই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা কাজ করছি। প্রতিবেশি সবার সাথে সম্পর্ক ভালো রেখেই বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করছি। এখন কূটনীতির ধরন বদলে গেছে। শুধু রাজনৈতিক কূটনীতি নয়, এখন সময় অর্থনৈতিক কূটনীতির। সেভাবেই বাংলাদেশের কূটনীতিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে নানা সংঘাত আছে সেসব দেশে আমরা সহায়তা পাঠাচ্ছি। অনেকে মারাও গেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আনন্দবাজার/শহক