করোনায় ছুটিতে এসে দেশে আটকা পড়া কর্মীদের ভিসার মেয়াদ তিন মাস বাড়াতে সৌদি আরবকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এ বিষয়ে এখনও সৌদি আরবের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
মন্ত্রী বলেন, ভিসার মেয়াদ তিন মাস বাড়াতে ইতিমধ্যে সৌদি সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অনুরোধ জানানো ছাড়া আর কিছু করার নেই। সৌদি আরব অনুরোধ না রাখলে কী করার আছে?
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠকের পর সৌদি আরব দূতাবাস ও রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে দেশে আটকা পড়া কর্মীদের ভিসার মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন জারির আগে দেশে আসা কয়েক লাখ প্রবাসী কর্মী আটকা পড়েছেন। বিমান চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় লকডাউন শেষে তারা ফিরতে পারছেন না।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ কয়েক দফায় ছয় মাস মেয়াদ ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে। সৌদি প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। এ সময়ের মধ্যে কর্মস্থলে না ফিরতে পারলে তারা আর সৌদিতে ফিরতে পারবেন কী-না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। ভিসা জটিলতার এই শঙ্কায় থাকা কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশটির কাছ থেকে আশ্বাস করার মতো কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। উল্টো সৌদি কর্তৃপক্ষ দেশটিতে থাকা অবৈধ কর্মীদের ফিরিয়ে নিতে বলছে।
এদিকে সৌদি যেতে ইচ্ছুকরা দু’দিন ধরে কারওয়ান বাজারে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসের বুকিং কার্যালয়ে বিক্ষোভ করছেন । তারা জানান, নির্ধারিত সময়ে ফিরতে না পারলে চাকরি হারাতে হবে। অনেকের ব্যবসা-বাণিজ্যও হুমকির মুখে।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস